শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেট অঞ্চলে আন্তজার্তিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংগঠন’র অন্যতম প্রচার সংগঠন ‘ইসকন ইয়ুথ ফোরাম’ ও বিশ্ববিদ্যারয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ১৫তম ইসকন ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল’১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। ফেস্টিভ্যালে সিলেট ইসকনের অধ্যক্ষ নবদ্বীপ দ্বিজ গৌরাঙ্গ দাশের সভাপত্বিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিতেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপাদ্ চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, ভারতের মায়াপুরের ভক্তিভেদান্তা গিতা একাডেমির সমন্বয়ক শ্রীপাদ্ গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, ইসকন বাংলাদেশের সহ-সাধারণ সম্পাদক জগৎ গুরু গোরাঙ্গ দাশ ব্রহ্মচারী, পন্ডিত গোদাধর দাশ ব্রহ্মচারী, দেবর্ষি শ্রীবাস দাশ ব্রহ্মচারী ও দেবামৃত নিতাই দাস প্রমুখ।
এদিকে অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসকন শ্রীধাম মায়াপুর থেকে ভক্তি পুরুষোত্তম স্বামী মহারাজ।
এসময় আলোচনায় তিনি বলেন, আত্মার প্রশান্তির জন্য গৌরাঙ্গ ভক্ত তরুণদের জাগতিক জ্ঞানের পাশাপাশি আধ্যাতিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে । যে চিন্তাধারার বহুবছর আগেই বিকাশ ঘটেছিল। এই জ্ঞান অর্জনে মিলবে জাগতিক ও আধ্যাতিক মুক্তি। আর এই ধারণার মধ্য দিয়ে দেশ বিদেশে লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী কৃষ্ণভক্তে পরিণত হয়েছে। এ সময় তিনি আধ্যাতিক জ্ঞান সিদ্ধির জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একটি অসম্পদ্রায়িক রাষ্ট্র হবে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার একটি অসাম্পদ্রায়িক সরকার। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জাগায় আমরা সাম্প্রদায়িকতার শিকার হচ্ছি। এজন্য আমাদের তরুন সমাজকে একসাথে বসে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। ধর্মের যথাযথ চর্চা করতে হবে। তাহলে আমরা এই ধ্যান-ধ্যারণা হতে বের হয়ে আসতে পারবো।
এদিকে সিলেটের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীরা এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত, সিলেট অঞ্চলের এই বিগত ২ বছর ধরে ইসকন আয়োজিত এই ফেস্ট্যিভ্যাল অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
নির্বাহী সম্পাদক