ওসমানীনগরে সনাতন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়ের সামন দিয়ে জোর পূর্বক ড্রেন নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগটি তদন্ত করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে ওসমানীনগর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা সরজমিন গিয়ে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করেন এবং তদন্ত কর্মকর্তা সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দের বক্তব্য গ্রহণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী শ্রী-শ্রী কালাচাঁন থলী ও মন্দিরের সামন দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ব্যক্তি স্বার্থের হীন উদ্দেশ্যে ড্রেন নির্মাণের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এবিষয়ে বুরুঙ্গা গ্রামের পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অবেদন প্রেরণ করেন।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বুরুঙ্গা গ্রামস্থ শতবর্ষী ধর্মীয় প্রতিষ্টান শ্রী-শ্রী কালাচাঁন থলী ও মন্দিরের সামন দিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্টানের বর্জ্য নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে ধর্মীয় প্রতিষ্টানের সৌন্দর্য বিনষ্ট এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের নিষেধ অমান্য করে ড্রেন নির্মাণের চেষ্টার বিষয়টি ধর্মীয় অনুভুতিতে আগাতের শামিল।
বুরুঙ্গা গ্রামের পূজা কমিটির সভাপতি অরুণ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক গবিন্দ চন্দ্র দেব, গ্রামের অপর পূজা কমিটির সভাপতি সঞ্জিত পাল, সাধারণ সম্পাদক সুমন আচার্য্য এবং শ্রী-শ্রী কালাচাঁন থলী ও মন্দিরের ভুমির মালিক প্রীতি রঞ্জন চৌধুরী বলেন, দির্ঘদিন যাবৎ এখানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্টান পালিত হয়ে আসছে। নিজ বুরুঙ্গা গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় দুই হাজার লোক এখানে ধর্মীয় অনুষ্টান পালন করে আসছেন। এখানে ড্রেন নির্মাণ করা হলে ধর্মীয় প্রতিষ্টানে আসা লোকজনের ব্যাঘাত ঘটবে।
এবিষয়ে আমরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত আবেদন দিলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। বরং উল্টো আমরা ওই প্রভাবশালী মহলের দ্বারা হুমকি-ধমকি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি।
এছাড়া যে পরিকল্পনায় ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে সে অনুযায়ী ড্রেন নির্মাণ করা হলে ড্রেনের বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। এতে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে।
নির্বাহী সম্পাদক