স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হামলার শিকার হয়েছেন আরটিভির দুই সংবাদকর্মী।
মঙ্গলবার দুপুরে এ হামলার শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশনটির প্রতিবেদক সোহেল রানা ও ক্যামেরাপার্সন নাজমুল হোসেন সায়মন।
হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় মো. আসিফের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সোহেল রানা।
এ ঘটনায় মুগদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি। এই ঘটনার নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কর্মক্ষেত্রে না থাকা নিয়ে চিকিৎসকদের হুঁশিয়ার করেন। তারপর বিভিন্ন গণমাধ্যম নানা হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
সোহেল রানা বলেন, মুগদা হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহে গেলে প্রথমে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিয়ে পরিচালকের অনুমতি নিতে আসতে বলেন।
“পরিচালকের কক্ষে গেলে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগার করে বলেন, ‘সাংবাদিকদের কারণেই প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের ওপর কড়াকড়ি করেছেন, হাসপাতালে কোনো সাংবাদিকের প্রবেশ করা যাবে না’।
“পরে আমরা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় রোগী ও তাদের স্বজনদের বক্তব্য নিতে গেলে সেখানে হাসপাতালের কর্মীরা এসে ফের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ওয়ার্ডবয় মো. আসিফের নেতৃত্বের হামলা চালায়, ওয়ার্ডবয় আমাকে বলে- ‘তুই এখানে কী করিস?’ তোদের না রিপোর্ট করতে নিষেধ করা হইছে।’ এরপর আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে তারা। একপর্যায়ে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে আমাদের গাড়ির কাছে নিয়ে যায়। ক্যামেরার লেন্স ভেঙে ফেলে।”
মুগদা থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মাসুদুর রহমান বলেন, “সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় যে জিডি হয়েছে। আমরা ঘটনাটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। তদন্তে ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান এক বিবৃতিতে বলেন, এ হামলা মুক্ত গণমাধ্যমের বিকাশ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।
হামলাকারীদের দ্রুত সনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্ণিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান