ব্যাপক হট্টগোল ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে পন্ড হয়েছে কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করেছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলি কালা মিয়ার পরিচালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওমীলীগ নেতা মুহাম্মদ আলি দুলাল, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, জগলূ চৌধুরী, আজমল আলি, নুরুল আমিন, সাদ উদ্দিন।
জানা গেছে- মঙ্গলবার বেলা ২টায় সভা শুরু হলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে দলীয় প্রার্থী আহবান করা হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থীর নাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জনের নাম জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে প্রস্তাব করা হয়।
এসময় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক নাসরিন জাহান ফাতেমাকে মনোনয়নের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বর্ধিত সভায় উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য ও ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কোন প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সে ব্যাপারে জেলা নেতৃবৃন্দ দলীয় নেতা কর্মীর মতামত চান। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রের নির্দেশনার আলোকে প্রকাশ্যে মতামতের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের আহবান জানান।
কিন্তু চেয়ারম্যান প্রার্থী শামিম আহমদ প্রক্যাশে মতামতের পরিবর্তে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের দাবী করেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আপ্তাব আলি কালা মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ্যে মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাইয়ের মতামত ব্যক্ত করেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ গোপন ব্যালটে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুপক্ষে উত্তেজনা ও হট্টগোল শুরু হয়। এসময় আপ্তাব আলি কালা মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাংচুর করে শামিম আহমদের উপর চড়াও হলে জেলা নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
এসময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা শামিম আহমদের উপর ফের চড়াও হলে পুলিশ বেষ্টনিতে জেলা নেতৃবৃন্দ শামিমকে নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
নির্বাহী সম্পাদক