২০১৮ সালের ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। নিহতদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও ১ জন চীনা নাগরিক ছিলেন। নিহত হন ফ্লাইটের সহকারি পাইলট পৃথুলা রশিদ। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা যান পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ। এর আগে গত বছরের আগস্টে কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে তদন্ত কমিশনের সূত্রে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের মানসিক উদ্বেগকে দায়ী করা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনকে অস্বীকার করেছিল নেপালের তদন্ত কমিশন। ওই সময় প্রতিবেদনটিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন বাংলাদেশের গঠিত তদন্ত কমিশন ও বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ।
রবিবার নেপালের কমিশনের জমা দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের মানসিক অসুস্থতার ইতিহাসের দিকে নজর ফেরানো হয়েছে। প্রতিবেদনে মেডিক্যাল কারণে বিমান চালনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া কোনও পাইলটের লাইসেন্স নবায়নের আগে ধারাবাহিক মানসিক ও শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়েছে।
নেপালের তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার নিরাপত্তা রিপোর্টিং পদ্ধতি যথাযথ থাকলেও কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও চিকিৎসক নেই। কর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইস্যু কোম্পানিটি পর্যবেক্ষণ করে। আর নিজেদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে কর্মীরা ইচ্ছামতো বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন। ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত কোনও ইস্যু থাকলে যথাযথভাবে কোম্পানিকে জানানো হতো।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নেপালের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।