Home » নানার ধর্ষণে সন্তান জন্ম দিল স্কুলছাত্রী নাতনি

নানার ধর্ষণে সন্তান জন্ম দিল স্কুলছাত্রী নাতনি

রুহুল কবিরঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নানা’র ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী নাতনি পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। এ ঘটনার মামলায় শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ধর্ষিতার আপন নানা রশিদ মন্ডলকে (৬২) যমুনা নদীর চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রশিদ মন্ডল উপজেলার যমুনা পাড়ের কৈয়াগাড়ি গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোট চিকাশি মোহনপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যর মেয়ে একই এলাকার কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানা রশিদ মন্ডলের বাড়ি থেকে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। নানার বাড়ির পাশে অফের আলীর ছেলে বকুল মন্ডল (২৩) বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়েটি স্কুল থেকে নানার বাড়িতে ফিরে ঘরের ভেতর শরীরের পোশাক পরিবর্তন করছিল। এ সময় বকুল হোসেন ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে নানা। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করে। এরপরও ভয় দেখিয়ে নাতনির সাথে একাধিক বার দৈহিক মিলন ঘটায়।

এ অবস্থায় মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন ঘটনায় তার মা-বাবা চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে মেয়ের অন্তঃসত্তা হওয়ার বিষয়টি টের পায়। পরে মেয়ের মুখে শুনে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে (মামলা নং ২৪৩ পি)।

ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও প্রেমিক বকুল মন্ডলকে আসামী করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। মামলার পর থেকে রশিদ মন্ডল পলাতক ছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইয়ুব আলী বলেন, আদালতের আদেশে এজাহারটি থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ১ জানুয়ারী বাবার বাড়িতে পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। এ মামলায় রশিদ মন্ডলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় সনাক্ত করতে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *