নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের কোম্পানি ও বহিষ্কৃত উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা তোফায়েল আহমদের গোপন বৈঠক নিয়ে তোলপাড় চলছে।
গত সোমবার (২১ জানুয়ারী) রাতে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে।
অবশ্যই পরের দিন মঙ্গলবার একটি মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে তোফায়েল আহমদকে কারাগারে পাঠিয়েছে বান্দরবানের দায়রা জজ আদালতের বিচারক হ্লামং।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার দাবী, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা নিতে ওই বৈঠকে মিলিত হয় তারা।
সূত্র জানায়, ২৩ মামলার আসামি তোফায়েল আহমদ সোমবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের কোম্পানির কলাতলীর একটি ভাড়াটে হোটেলে গোপন বৈঠকে বসেন। এতে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন নেতা উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই একদল পুলিশ ঘিরে ফেলে ওই হোটেলটি। তবে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন জামায়াত নেতা তোফায়েল।
একাধিক সূত্র জানায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বানচাল করতে গোপন মিশনে নামার পরিকল্পনা নেয় একটি চক্র। এ উপলক্ষে গোপন বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। তবে, জামায়াত নেতার সাথে আওয়ামী লীগের একজন নেতা কেন রাতে একটি আবাসকি হোটেলে বৈঠকে বসলেন? তা নিয়ে নানা মহলে কানাঘোষা শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে খোদ দলের নেতাকর্মীদের ভেতরেও সমালোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছে, পূর্বের সিদ্ধান্ত মতে সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় জামায়াত নেতা তোফায়েল আহমদ উপস্থিত হন শহরের কলাতলীর নিশান গেস্ট হাউসে। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমাণ ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের কোম্পানি।
এ বিষয়ে আবু তাহের কোম্পানির বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার এক ঘনিষ্ঠজনের দাবী, তোফায়েল আহমদের সঙ্গে তাহের কোম্পানির অংশীদারিত্ব ইটভাটার ব্যবসা রয়েছে। গোপন বৈঠক নয়, দুইজনে ব্যবসার হিসাব করতে বসেন। সেখানে বাইরের কেউ ছিলনা।
নির্বাহী সম্পাদক