ডেস্ক নিউজ:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের সন্তানরা কিন্ডার গার্টেন (কেজি) স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। দ্রুত এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। মঙ্গলবার ঢাকা জেলার সাভার, দোহার, ধামরাই ও নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন একটি করে নতুন ইংরেজি শব্দ শেখানো হচ্ছে। সে হিসাবে বছরে প্রতি ক্লাসে ২২৫টি নতুন শব্দ শিখতে পারছে শিশুরা। বিষয়টি মনিটরিংয়ে সারাদেশে ৬৩ জন মাঠ পর্যায় কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ক্লাসে পাঠদানের জন্য আমরা একটি ইউনিক লেসন প্ল্যান তৈরি করে দেব। এর মাধ্যমে নানা রকম দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে।
সকল শিক্ষার্থীদের একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা নতুন একটি জাতি গঠনে ডিজিটালাইজড করার দিকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছি। যার প্রতিফলন হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের ছোটখাটো যে সকল সমস্যা রয়েছে তা নিরসন করা হবে। নতুন করে ৫০ হাজার ভবন নির্মাণ করা হবে। নতুন নতুন আধুনিক পদ্ধতিও চালু করা হবে।’
আমি মন্ত্রী হয়েছি তো কী হয়েছে- এমন প্রশ্ন তুলে শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা জাতি গঠনের হাতিয়ার। সমাজে আপনারা অনেক সম্মানিত ব্যক্তি। আমি এখনো আমার শিক্ষককে দেখলে তাকে কদমবুচি করি। পাকিস্তানের শিক্ষকদের চাইতে আপনারা অনেক ভালো আছেন। হালালভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তবেই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।’
কেজি স্কুলে শিক্ষার্থীরা কেন ভর্তি হচ্ছে প্রশ্ন তুলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (শিক্ষকরা) সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে কেজি স্কুলে ভর্তি করাবে না। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের কেজি স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন না।’ দ্রুত এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব আকরাম আল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলী কার্যক্রম নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। অনেক শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা কমে যাবে, কেজি স্কুলের দিকে আর কেউ ঝুঁকবে না।’

নির্বাহী সম্পাদক