মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার আর ইংলিশ ব্যাটসম্যান লরি ইভান্সকে বাইরে রাখলো রাজশাহী কিংস। মুমিনুলের জায়গায় শাহরিয়ার নাফীস, সৌম্যর জায়গায় মার্শাল আইয়ুব ঢুকলেন একাদশে। ইভান্সের জায়গায় শ্রীলঙ্কান লেগস্পিনার সেকুগে প্রসন্নকে নিল কিংসরা। বিপিএলের এবারের আসরে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া শাহরিয়ার আর মার্শাল খারাপ করেননি। মূলত এ দু’জনের ব্যাটে ভর করেই ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তুলেছে রাজশাহী কিংস।
বিপিএলের এবারের আসরে রাজশাহীর আগের পাঁচটি ম্যাচের একাদশেই ছিলেন মুমিনুল ও সৌম্য। তাতে মুমিনুলের সর্বোচ্চ ইনিংস ৪৪ রানের। বাকিগুলোতে করেছেন ৮, ৩, ১৪ ও ৭ রান। সৌম্যর পারফরম্যান্স আরো খারাপ। তার ইনিংসগুলো ছিল এরকম ৪, ১১*, ০, ১৮, ২। এ দুজনের বাদ পড়া তাই অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
বিপিএলের সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হয় বেলা দেড়টায়। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহী শুরুতেই হারায় দলনায়ক মিরাজকে। নড়বড়ে মিরাজ ১১ বলে ১ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে পোলার্ডকে ক্যাচ দেন কাভারে। মিরাজের কাছ থেকে ইনিংসে প্রথম ওভার মেডেন আদায় করে নিয়েছিলেন রাসেল।
শাহরিয়ার নাফীসের সাথে জুটি গড়ে ইনিংসকে টানছিলেন মার্শাল আইয়ুব। এ দুজনের ৫৩ বলে ৭৫ রানের জুটি ভাঙে নাফীসের বিদায়ে। সুনীল নারাইনের বলে লং অনে রুবেলের ক্যাচ হওয়ার আগে ২৭ বলে ৩টি চারে ২৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এক বল পর উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মার্শালও। তার ৩১ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি চার, ২টি ছয়।
এরপর জাকির হাসানের ১৮ বলে ২০, রায়ান টেন ডাশকাটের ১৬ বলে ১৬ রানই ছিল রাজশাহীর ইনিংসের উল্লেখযোগ্য। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলে রাজশাহী কিংস।
আগের ম্যাচগুলোতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখানো ঢাকার জন্য এ লক্ষ্য বড় হওয়ার কথা নয়।
৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট দখল করা নারাইন ম্যাচে ঢাকার সেরা বোলার। রাসেল, সাকিব, এলিস ইসলামের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।
এ ম্যাচের আগে, ৪ ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে বিপিএলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে ঢাকা। ৫ ম্যাচে ২ জয় আর ৩ হারে রাজশাহীর অবস্থান চারে।
বার্তা বিভাগ প্রধান