সিলেট নগরীর মেন্দিবাগস্থ গার্ডেন টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে নববধুর অলঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ২১ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। ১১ জানুয়ারি এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, নগরীর ভার্থখলা এলাকার বাসিন্দা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. শওকত হোসেনের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪৮) তার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন। দেশে আসার পর থেকে নাজমা খাতুন ও তার ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন মেন্দিবাগস্থ গার্ডেন টাওয়ারের ৭ম তলাস্থ ফ্লাট নং-২০২৭ ভাড়া নিয়া সেখানে বসবাস করছেন।
১১ জানুয়ারি আনোয়ারের বিয়ে নগরীর ধোপাদীঘিরপাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্সে সম্পন্ন হয়। বিয়ে শেষে কনেকে নিয়া বরযাত্রীরা বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উক্ত গার্ডেন টাওয়ারস্থ ফ্লাটে ফেরেন। নাজমা খাতুন এ সময় বিবাহে প্রদত্ত গহনা, তাহার ব্যক্তিগত অলঙ্কার, বিয়েতে উপহার হিসেবে পাওয়া নগদ টাকা, যুক্তরাজ্য থেকে সাথে আনা নগদ ২ হাজার পাউন্ড ইত্যাদি তার শোবার ঘরের একটি আলমারিতে রেখে পাশের কক্ষে যান। কিছুক্ষণ পর নাজমা খাতুন তার ছেলের বউকে তাহার অলঙ্কার পরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে পুনরায় শয়নকক্ষে ফিরে আলমারি খুলে দেখতে পান যে, তাহার ভ্যানিটি ব্যাগে রাখা নগদ টাকা, পাউন্ড, অলঙ্কার ইত্যাদি যথাস্থানে নাই। এরপর নাজমা খাতুন ও ঘরে অবস্থানরত অন্যান্য নিকটাত্মীয়রা পুরো ফ্লাট খোঁজাখুঁজি করেও জিনিষপত্র না পেয়ে নিশ্চিত হন যে, তাদের অজ্ঞাতে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা এসব মালামাল চুরি করিয়া নিয়া গিয়াছে।
চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে- নগদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, নগদ ২ হাজার বৃটিশ পাউন্ড, আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, নাজমা খাতুনের নামীয় একটি বাংলাদেশী পাসপোর্ট, আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর ২২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা এবং নাজমা খাতুনের মালিকানাধীন প্রায় ১০ ভরি ওজরনের স্বর্নালংকার যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। চুরি যাওয়া মালামালের মোট মূল্য প্রায় ২১ লক্ষ টাকা।
বিষয়টি তাৎক্ষণিভাবে কোতয়ালী থানা কর্তৃপক্ষকে জানালে কোতয়ালী থানার ওসির নির্দেশে সোবহানীঘাট ফাঁড়ির এসআই কামাল উদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গার্ডেট টাওয়ারের সিসিটিভি’র ফুটেজসহ আলামত সংগ্রহ করেন।
এ ঘটনায় ভার্থখলা স্বর্ণালী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও নাজমা খাতুনের ভাই শেখ আব্দুল মান্নান দুলাল বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল মিয়া অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার তদন্ত অব্যাহত আছে।

নির্বাহী সম্পাদক