আসছে আরও ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ । প্রাক্-প্রাথমিকে ভর্তির বয়স কমছে, শিক্ষক নিয়োগ হবে আরও ২০ হাজার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, উন্নত জাতি গঠন করতে হলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি শিক্ষার সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা চান। এদিকে মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন, প্রাক্-প্রাথমিকে ভর্তির বয়স কমানো হবে এবং আরও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে রোববার সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির ভর্তিতে শিশুদের বিদ্যমান বয়স ৫ বছরের পরিবর্তে ৪ বছর করা হবে। Eprothom Alo সচিব বলেন, শিক্ষকদের বেতন–বৈষম্য অচিরেই নিরসন করা হবে। শিগগিরই নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা হবে। এ বছর আরও ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
এ বছর আরো ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন। রোববার রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়া প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য ‘অচিরেই’ নিরসন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব। তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে শিশুদের ভর্তির বয়স এক বছর কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করা হবে।
সচিব বলেন, কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে বর্তমানে বিদ্যমান শিশুদের বয়স পাঁচ বছরের পরিবর্তে চার বছর করা হবে। সচিবকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সরকার সকলের জন্য শিক্ষা দিতে পেরেছে, মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করা এখন সরকারের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। দুর্নীতিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, উন্নত জাতি গঠন করতে হলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার মূলভিত্তি। বর্তমান সরকার ভবিষ্যতে মেধাসম্পন্ন মানুষ তৈরির জন্য মায়েদের অপুষ্টি দূর করতে মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্ননের সড়কে যেভাবে এগিয়ে চলছে তাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আর বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না।’ তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের মূলভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা।’ মানসম্মত প্রথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
বার্তা বিভাগ প্রধান