স্বীকৃতি ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। কলেবর সংক্ষিপ্ত হলেও টি-টোয়েন্টিতে ছুটে চার-ছক্কার ফুলঝুরি। যারা ক্রিকেটের কট্টর সমর্থক কিংবা যারা নিখাদ বিনোদনের জন্য ক্রিকেট ম্যাচে চোখ রাখেন, তাদের মাতাতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই সেরা আকর্ষণ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। এই টি-টোয়েন্টি ঘিরেই এখন সিলেটে উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমকালো আসর। দেশের সেরা ক্রিকেটারদের উপস্থিতি, বিদেশি তারকাদের ভিড়, সরাসরি সম্প্রচার, দেশ-বিদেশের আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংযুক্তি সবকিছু মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ছোঁয়া দিয়ে যায় বিপিএল। এই লিগ ঘিরে তাই আগ্রহেরও কমতি নেই কোনো। আর ভেন্যু যখন হয় সিলেট, তখন ক্রীড়াপ্রেমীদের মাতামাতিও চোখে ধরা দেয় সুদৃশ্য হয়ে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের পঞ্চম আসরের (২০১৭ সালে) আটটি ম্যাচ হয়েছিল। প্রতিটি ম্যাচেই ক্রিকেটের নন্দনকাননে ভ্রমর হয়ে সরব উপস্থিতি ছিল দর্শকদের। বিপিএলের প্রথম চারটি আসরের কোনো ম্যাচ হয়নি দেশের সুন্দরতম এ ভেন্যুতে। এবার ষষ্ঠ আসরের আটটি ম্যাচ হচ্ছে এখানে। কাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম ম্যাচে লড়াইয়ে নামবে খুলনা টাইটানস ও রাজশাহী কিংস। সন্ধ্যায় আছে ‘ঘরের ফ্র্যাঞ্চাইজি’ সিলেট সিক্সার্সের ম্যাচ, প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মঙ্গলবার থেকে শনিবার, এই পাঁচদিন বিপিএল থাকছে সিলেটে। তবে ম্যাচ আছে চারদিন। বৃহস্পতিবার ছাড়া বাকি চারদিন আছে দুটি করে ম্যাচ। বিপিএলের ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট নিয়ে উত্তেজনার বিপিএলের সুঘ্রাণ এখন তাই সিলেটের বাতাসে ঠের পাওয়া যায় স্পষ্ট। সিলেট পর্বের টিকেট আজ সোমবার সকাল থেকে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে থেকেই ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে টিকেটের খোঁজখবর চলছিল সাগ্রহে। সিলেটে ঘরের ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট সিক্সার্সের ম্যাচ আছে চারদিনই। সবার আগে, রবিবার এ ফ্র্যাঞ্চাইজিই পৌঁছে গেছে সিলেটে। ডেভিড ওয়ার্নার, অলক কাপালি, সাব্বির রহমানদের ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই তাই আছে তুমুল আগ্রহ। এই আগ্রহের আগুনে ঘি ঢালতে পারতেন স্থানীয় আয়োজকরা, ন্যুনতম প্রচারণার ব্যবস্থা করে। তা হয়নি, কিন্তু প্রচারণার অপেক্ষায় থেকে নিখাদ বিনোদনের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হতে বয়েই গেছে সিলেটের ক্রীড়াপ্রেমীদের! ঢাকায় ম্যাড়ম্যাড়ে বিপিএল নামক ক্রিকেটিয় ‘ফুল’তাই সিলেটে পূর্ণ প্রস্ফূটিত হওয়ার অপেক্ষায়।
বার্তা বিভাগ প্রধান