‘র্যাপ’সঙ্গীতের ওপর ভীষণ খেপেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর ধারণা এই ধরণের সঙ্গীতের সঙ্গে নাকি মাদকের যোগ রয়েছে! তাই তিনি এই সঙ্গীত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘র্যাপসঙ্গীত যেহেতু নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়, তাই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’
‘গার্ডিয়ান’-এর খবর, র্যাপসঙ্গীত শিল্পী হাস্কি একটি গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে গান গেয়েছিলেন। এই অপরাধে তাঁকে ১২ দিনের সাজা দেয় রাশিয়ার আদালত। সম্প্রতি ক্রাসনোডরে তাঁর একটি কনসার্ট বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাশিয়াজুড়ে বেশ কিছু র্যাপ কনসার্টও বাতিল করেছে পুতিন প্রশাসন। হাস্কি তাঁর কনসার্টে গানের মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করে থাকেন। সে জন্যই পুতিনের চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
রাশিয়ার শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন নির্দেশ দিয়েছেন, কীভাবে তরুণদের কনসার্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়টি দেখার জন্য। তিনি বলেছেন, ‘‘র্যাপ এবং অন্যান্য আধুনিক শিল্পের স্তম্ভ আসলে তিনটি—সেক্স, ড্রাগ ও প্রতিবাদ। আমি সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন মাদক নিয়ে। একটা জাতিকে ধ্বংস করার এটাই যথেষ্ট।’’র্যাপ সঙ্গীতে ব্যবহৃত কিছু শব্দকে তিনি ‘বাজে’ বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘গানের ভাষা আমাদের মাতৃভাষা থেকে নেওয়া উচিত। আর যদি তা নেওয়া হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত কীভাবে এটার ব্যবহার হচ্ছে।’’
পুতিনের মতে, ‘যদি কোনও কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, তবে তা নিয়ন্ত্রণ করাই উচিত।’কোন প্রক্রিয়ায় রাশিয়ায় র্যাপ সঙ্গীতকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা প্রশাসনের আধিকারিকদের হাতেই ছেড়েছেন তিনি।
পুতিনের এমন সিদ্ধান্তকে সোভিয়েত যুগের শিল্প-সাহিত্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। পুতিনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সে দেশের তরুণ ও যুবরা।
এর আগেও রাশিয়ায় পপসঙ্গীতকে বেশ হেয় করে দেখা হতো। শুধু র্যাপ নয়, এর আগেক্ল্যাসিকাল সঙ্গীতশিল্পীদেরও রাষ্ট্রের বিরোধীতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
নির্বাহী সম্পাদক