অবশেষে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
২০ ডিসেম্বরের পর তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। রোববার জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার বরাত দিয়ে দলীয় সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
তবে দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে মহাজটের সাথে এরশাদের সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশের একটি সূত্র বলছে, মহাজোটে থাকার শর্ত হিসেবে এরশাদ তার বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা মঞ্জুর হত্যা মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি চান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের পরপরই তার বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় মামলা গুলোর সুরাহা করা হবে। এর বিনিময়ে এরশাদ মহাজোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচরণায় অংশ নেবেন।
এছাড়াও, এরশাদ উন্মুক্ত আসনে দাঁড়ানো তার ১৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনকেই প্রত্যাহার করে নেবেন বলে জানা গেছে। অবশ্য এর বিনিময় তিনি নতুন সরকারের মন্ত্রীসভায় তার পছন্দের ৪ জন মন্ত্রী নিয়োগের দাবি করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এরশাদের সব দাবিই নির্বাচনের পর বিবেচনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, রোববার সকালে মেরিনা বে হোটেলে এরশাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর এরশাদ হাস্যোজ্জল ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ফোন করেন। এরশাদ জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
এদিকে, নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর্যায়ে হঠাৎ বেঁকে বসেছিলেন এরশাদ। মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন। এখান থেকে বেরিয়ে ১০ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে উড়াল দেন। মহাজোটে ২৯টি আসন পেয়ে অসন্তুষ্ট এরশাদ ১৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তার দলের প্রার্থী দিয়েছিলেন। এরশাদ সিঙ্গাপুরে গেলে তার পিছনে যায় বাংলাদেশের কয়েকজন সরকারি প্রতিনিধি। দীর্ঘ দরকষাকষির পর শেষ পর্যন্ত এরশাদ বশীভূত হয়েছেন বলে জানা গেছে।