বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ (রোববার) ২৫ অগ্রহায়ণ। খাতা-কলমের হিসাবে পৌষ-মাঘ হচ্ছে শীতকাল। সে হিসেবে শীতকাল আসতে এখনও পাঁচদিন বাকি, কিন্তু ইতোমধ্যে গ্রামাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। শহরেও ক্রমেই তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি জোরালো হচ্ছে। এরমধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে।
রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৬ ডিগি সেলসিয়াম। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
তবে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দস জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুই-একটি স্থানের তাপমাত্রা দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বইছে এটা বলা যাবে না। একটি অঞ্চলের দুই তিনটি স্টেশনে যদি দুই-তিনদিন ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা বইতো তবে শৈত্যপ্রবাহ বলা যেত।’
আপাতত শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বা তার পরের দিন থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।’
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, সেখানে তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ডিসেম্বর মাসের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এই মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক