হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় জীবিকার তাগিদে সৌদিতে পরিচারিকার কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন দেশে ফিরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে রোশনা। তার উপর অবিচারের জন্য তার ভাই বিজ্ঞ আদালতে মানব পাচার আইনে দালালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদালত মামলাটি তদন্ত করতে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোশনা জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের আশ্বব উদ্দিনের কন্যা স্বামী পরিত্যক্তা রোশনা বেগম (২৭) রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে সৌদিআরব গমন করেন। সে দেশে যাবার পর তার উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। তালাবদ্ধ ঘরে রেখে কয়েকজন যুবক মিলে পাঁচ মাস শারীরিক নির্যাতন চালায়। সেখানে পাঁচ মাস অবস্থানের পরও তাকে দেশে ফোন করতে দেয়নি তারা। অবশেষে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে সে দেশের পুলিশ এনে ধরিয়ে দিয়ে দেশে পাঠিয়েছে তাকে। এখন দেশে আসার পর কাউকে সে ছিনতে পারছে না। ঠিক মতো চলা-ফেরা ও করতে পারেনা। পরিবারের লোকদের সহযোগিতায় গত শুক্রবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। সুস্থ হতে ডাক্তার তাকে ওষুধ ও স্যালাইন দিয়েছেন।
রোশনা আরো জানায়, তার এমন অবস্থা হয়েছে একা চলা-ফেরা করতে পারেনি। অন্যর সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে ও পারেনি।
নবীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, রোশনাকে দেখে মনে হচ্ছে সে অতি দুর্বল এবং পর্যাপ্ত পরিমানের চিকিৎসার প্রয়োজন। রোশনার ভাই মো. রিপন মিয়া মামলার আরজিদে উল্লেখ করেছে এই অমানবিক ঘটনার বিবরণ গত ২৫ আগষ্ট গোপনে ফোন করে তার পরিবারের লোকদের জানিয়েছে।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার ওসি অপারেশন নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান মামলার ব্যাপারে তিনি অবগত নন।
নির্বাহী সম্পাদক