Home » আর কত জনপ্রিয় হলে দল মূল্যায়ন করবে …… !

আর কত জনপ্রিয় হলে দল মূল্যায়ন করবে …… !

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. মেহরাজ রহমান ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, আর কত জনপ্রিয় হলে দল মূল্যায়ন করবে…।
২১ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে যা তিনি বললেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে উত্তরাধিকার প্রথা সুপ্রতিষ্ঠিত। হোক সে যোগ্য অথবা অযোগ্য বেশীর ভাগ সকলেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ নিজেই জোর গলায় বলেছেন, ”আমরা রাজনৈতিক উত্তরাধিকার”। আমি উনার বক্তব্যের সাথে একমত পোষন করে যোগ করতে চাই।
আমরা দেখেছি জাতীর জনক বঙ্গগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর জাতীয় চার নেতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব আছেন।তাজ উদ্দিন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন। বর্তমানে মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সংসদ সদস্য। ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্হ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব আছেন। এ,এইচ,এম কামরুজ্জামানের ছেলে খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মহানগরআওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মনোনীত হয়েছেন।
এর পর আমরা দেখেছি দলের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও এম.পি নির্বাচিত হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হচ্ছেন। বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছেলে ইতিমধ্যে এম.পি নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের ছেলে নাহিম রাজ্জাক এম.পি হয়েছেন। সাজেদা চৌধুরীর ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আহসান উল্লা মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এম.পি নির্বাচিত হয়েছেন। অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে সকলের নাম লিখলাম না। সর্বশেষ দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জায়গা করে নিয়েছেন এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে নবাগত নওফেল ও সদস্য পদে মহিউদ্দিন খাঁন আলমগীরের মেয়ে। অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। সর্বশেষ সিলেটে প্রয়াত দপ্তরবিহীন মন্ত্রী শ্রদ্ধাভাজন সুরঞ্জিত সেন গুপ্তার স্ত্রী জয়া সেন এবং প্রয়াত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শ্রদ্ধাভাজন সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী সাহারা মহসীন কে যখন সহানুভূতি দেখিয়ে তাদের এমপি মনোনয়ন দিয়ে এমপি মনোনয়ন দিয়ে এমপি নির্বাচিত করা হল। তখন কেন আব্দুস সামাদ আজাদ এর জোষ্ঠ পুত্র আজিজুস সামাদ কে এই অবমূল্যায়ন? ডন তো তার বাবার সহানুভূতিতে মনোনয়ন চান নি, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, দিয়ে দীর্ঘ ১৬ টি বছর সুনামগঞ্জ এর গ্রাম থেকে গ্রামে সাধারণ মানুষের সু:খে দুখে পাশে থেকে এবং স্থানীয় তৃনমূল আওয়ামীলীগ কে শক্তিশালী করে হয়ে উঠেন সাধারণ মানুষ সহ সর্বমহলে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য এত জনপ্রিয়তা আর গ্রহণযোগ্যতা থাকার পরও তিনি কেন নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার কারন কি তার বাবা আব্দুস সামাদ আজাদ তার বাবা কি রাজাকার বা স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন?
আমরা জানি তার বাবা মরহুম শ্রদ্ধাভাজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আব্দুস সামাদ আজাদ ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার (স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার) প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। বাঙালী জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব আব্দুস সামাদ আজাদ ছিলেন মুজিবনগর সরকারের রাজনৈতিক উপদেষ্টা (পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা) এবং ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদূত। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে সামাদ আজাদ বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব¡পান। ১৯৭১ সালের হাঙ্গেরি বুদাষ্টে বিশ্বশান্তি সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বিশ্ববর্ণবৈষম্যকমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্বপালন করেন। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপুনরায় পান। ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্যনির্বাচিত হন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্বপালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
৭৫ পরবর্তী অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতীয় রাজনীতির পট পরিবর্তনের সময় তিনি ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতি অবিচল। দীর্ঘদুর্ভোগ, জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের হুলিয়া মাথায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক চেতনার সূর্যসন্তান হিসেবে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন।
আমরা জীবিত সামাদ আজাদকে দেখেছি। উনি কালের সাক্ষী ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মাতাদের একজন ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর যেমন বিশ্বস্ত ছিলেন। তেমনি জননেত্রী শেখ হাসিনার ও বিশ্বস্ত দক্ষিন হস্ত ছিলেন। সংসদে দেখেছি জননেত্রীর পাশের চেয়ারেই বসতেন। যদিও ঐ চেয়ারটি প্রয়াত জিল্লুর রহমান সাহেবের জন্য নির্ধারিত ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২২ দিন আমেরিকায় ছুটি কাটানোর সময় সামাদ আজাদকে অস্থায়ী (ভারপ্রাপ্ত) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সভানেত্রী বিদেশে গেলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব ও সামাদ আজাদকে পালন করতে দেখা গেছে।
জাতীয় চার নেতার নামের সাথে যে নামটি বিশেষভাবে মিশে আছে, তিনি আর কেউ নন। তিনি আব্দুস সামাদ আজাদ। যার কারনে এই সিলেট বিভাগে আজ শত শত মুজিব সৈনিক এর জন্ম অনেক বড় বড় এমপি আর আওয়ামীলীগ নেতারা এখেনো যাকে রাজনীতিক অভিভাবক এবং রাজনীতিক শিক্ষাগুরু শিকার করেন তবে কেন তার পুত্র আজিজুস সামাদ ডন এর প্রতি এ অবিচার?
কারন স্থানীয় আওয়ামীলীগ ধ্বংস করতে ডন ঠেকাও একটি শক্তিশালী বামদল আর কমিউনিস্ট এর সিন্ডিকেট খুবই সক্রিয় আছে তাকে এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ কে ধ্বংস করে দিতে কিন্তু আমার প্রবাহিত তিনি সকল ষড়যন্ত্রের জাল চিন্ন করে যথাযত যেমন সর্বমহলে জনপ্রিয় ছিলেন তার বাবা তেমনি সেই সামাদ আজাদ পুত্র আজিজুস সামাদ ডনও সততা, বিশ্বস্ততা, ত্যাগ, দলীয় পদ, পদবী ছাড়াই সর্বস্তরের জনগনের ভালবাসা ও গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করে প্রমান করেছেন তিনির দেহে সামাদ আজাদের রক্ত প্রবাহিত।
যেমনিভাবে সামাদ আজাদ একজন কৃষকের সন্তান হয়ে অজোপাড়া গাওঁ থেকে উঠে এসে নিজ যোগ্যতায়, কর্মকাণ্ডে স্বমহিমায় জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। গনতন্ত্রের মানসপুত্রের স্থান দখল করেছিলেন। সামাদ আজাদ পুত্র ডনের প্রতি সুনামগঞ্জ-৩ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথ পুরের তৃনমূল জনগনের প্রত্যাশা। তিনি ও পিতার মত শত প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দ্বীপ্ত পায়ে অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথ আবিস্কার করার অঙ্গীকার নিয়ে মাথা উঁচু করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। দলের হাইকমান্ড আপনাকে বার বার ফিরিয়ে দিলেও তৃনমূলের জনগন আপনাকে কোনদিন ফিরিয়ে দিবেনা জনগন ভোটের মাধ্যমে দলের হাইকমান্ডদের দেখিয়ে দিবে তারা সামাদ আজাদকে ও ডন সামাদকে কত ভালবাসে সুনামগঞ্জ-৩, সামাদ আজাদের ঘাটি ডন সামাদের ঘাটি, জয় হোক তৃনমূল জনগনের, জয় হোক তৃনমূল ভোটারদের, জয় হোক আমাদের বিবেকের।

লেখক : মো. মেহরাজ রহমান, সহ সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথপুর উপজেলা।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *