আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ৩০০টি আসনে প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ২৮ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা নির্বাচন পেছানোর দাবী জানালেও এই দিনকে লক্ষ্য রেখেই পুরোদমে নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে গঠন হওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে কারা প্রার্থী হচ্ছেন এ বিষয়টি এখন দেশজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। তবে দেশের সবকটি আসনে না পারলেও ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক আসনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন সেটি চুড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
জানা গেছে- চুড়ান্ত এই আসনগুলোতে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতাদেরও প্রার্থী করা হয়েছে। চুড়ান্ত হওয়া আসনগুলোর মধ্যে সিলেটের ৬টি আসন রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সুত্র।
সুত্রের তথ্যমতে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসন থেকে এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হচ্ছেন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী। তবে এ আসনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের নামও আলোচনায় রেখেছে ঐক্যফ্রন্টের হাইকমান্ড।
সিলেট-২ আসনে এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
সিলেট-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিস্টার আব্দুস সালাম।
সিলেট-৪ আসনে এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রার্থী হচ্ছেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এবং গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী।
সিলেটের বাকি দুটি সংসদীয় আসন সিলেট-৫ এবং সিলেট-৬ আসন এবার জামায়াতকে ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরমধ্যে সিলেট-৫ আসনে তাদের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আছেন সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী এবং সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জামায়াাতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান।
সিলেট-৫ এবং সিলেট-৬ আসন জামায়াতের প্রার্থীদের দেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন- ‘সিলেট বিভাগে আমরা সিলেট জেলার দুটি, হবিগঞ্জ-২ এবং সুনামগঞ্জ-৫ সহ ৫টি আসন চেয়েছিলাম। কিন্তু জোটগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদেরকে সিলেট-৫ এবং সিলেট-৬ আসন দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাহী সম্পাদক