Home » অবাধে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা

অবাধে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা

দক্ষিণ সুরমায় অবাধে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা। রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে বাঁধা ধরা থাকলেও বিভিন্ন উপজেলা রুটে এসবের কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। পুলিশের সামনে দিয়ে এ সকল অটোরিক্সা চলাচল করলেও তারা না দেখার ভান করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশকে ম্যানেজ করেই এ সকল রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিক্সা চলাচল করছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে কথিত পুলিশ টোকেন কিংবা স্ট্যান্ড কার্ড। একই কার্ডের এপাশ ওপাশে চিহ্নকে পুঁজি করে বিভিন্ন উপজেলার সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অননুমোদিত এ সকল সিএনজি অটোরিক্সাগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ সুরমার সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের ওভারব্রীজের নীচে সিলেট জেলা অটো টেম্পু অটোরিক্সা চালক শ্রমিক জোট রেজি নং- চট্ট ২০৯৭ শাখা ও সিলেট জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্ট  ৭০৭ এর কার্যালয়  নামের সিএনজি স্ট্যান্ড। এই শাখায় মোট সিএনজির সংখ্যা ৩০০টি, এর মধ্যে ১০০টি সিএনজি অটোরিক্সা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন। এমনকি এই স্ট্যান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার সিএনজিও চলে ১৫/২০টি। মাসিক ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পুলিশি চাঁদার মাধ্যমে ওভারব্রিজ থেকে গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, ঢাকাদক্ষিণ রোডে অবাধে চলছে এসব রেজিষ্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা। আর পুলিশের পক্ষ থেকে মাসিক চাঁদার বিপরীতে স্টিকার ও টোকেন সরবরাহ করা হয়। স্টিকার সিএনজি অটোরিক্সার গ্লাসে ও টোকেন গোপনীতার মাধ্যমে রাখা হয়। টোকেনে লেখা থাকে স্ট্যান্ডের নাম ও শাখা নাম্বার এবং টোকেনের বিপরীত সাইডে চাঁদার সংকেত চিহ্ন।

ওভারব্রিজ স্ট্যান্ড ম্যানেজার  জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আমরা গাড়ীগুলো চালিয়ে থাকি। ওভারব্রিজ থেকে গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ রোডে চলে ৩০০টি সিএনজি অটোরিক্সা। এর মধ্যে রেজিষ্ট্রেশনবিহীন রয়েছে ১০০টি ও বিভিন্ন জেলার সিএনজি রয়েছে আরও ১৫/২০টি

রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ও অন্যজেলার সিএনজি কিভাবে চলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্রাফিক (টিআই), ট্রাফিক সার্জেন্ট, মোগলাবাজার থানা ও ফাঁড়ী পুলিশ ও দক্ষিণ সুরমা থানা ও ফাঁড়ী পুলিশ কর্তৃক ওভারব্রিজ থেকে শ্রীরামপুর বাইপাস পর্যন্ত সামাদ আহমদ ও সেলিমের মাধ্যমে স্টিকার ও টোকেনে চলে এসব সিএনজি অটোরিক্সা। আর স্টিকার ও টোকেনের বিপরীতে প্রতি গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, “টোকেন দিয়ে রেজিঃ বিহীন সিএনজি ফোরস্ট্রোক অটোরিক্সা চলাচল করা আইন সম্মত নয়। আমি এ ব্যাপারে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এবং অবৈধ অটোরিক্সা সিএনজি স্ট্যান্ডের জন্য যারা জায়গা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া অপরাধ প্রবনতা রোধ ও যানজট নিরসনে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সিএনজি চলতে দেওয়া হবেনা। এসব রেজিষ্ট্রেশন বিহীন অটোরিক্সা সিএনজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।”

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *