নিউজ ডেস্ক: গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই না, আমি কোনো পদও চাই না। আমি এসবের পিছনে ছুটছিও না।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ড. কামাল এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জনমত গড়তে আগামীকাল সিলেট যাবো, তারপর চট্টগ্রাম রাজশাহী খুলনা সফর করা হবে।
ড. কামাল বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বা কোন পদ পাওয়ার কোন ইচ্ছে আমার নেই। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী আমরা নির্বাচন দাবি করছি না। বর্তমান সংবিধান সংশোধিত। এই সরকার সংশোধন করেছে। সংশোধনীর আগে সংবিধান যে অবস্থায় ছিল সেই অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা সরকারকে করতে হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, মন্ত্রিসভার পদত্যাগ, সকল দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাহী বিভাগ, সরকার গঠন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশর অধিকার নিশ্চিত করা, জনগনের আস্থা আছে এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা -এই ৭ টি দাবি সরকারের কাছে করে আসছি। এই দাবি মেনে নেওয়া হবে সরকারের শুভ বুদ্ধির পরিচয়।
তিনি বলেন, আমি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। অথচ আমাদের এই ৭ দফা দাবিগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জাতীয় পর্যায়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মতৈক্যে পৌঁছেছি। যার ফলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। শধু তাই নয় দেশের নাগরিকরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে একটি সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে। ওখানে আপনারও মতামত ছিল। এখন কেন নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠনের কথা বলছেন? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের সততা নিরপেক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে সেজন্যই এই দাবি।
নির্বাহী সম্পাদক