গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার গাজার সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল বলছে, একটি গ্রুটি বোমার সাহায্যে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ফেলার পর একটি সেনা চৌকিতে হামলার করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে। খবর রয়টার্স, পার্সটুডের।”
গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলি হামলায় সাতজন নিহত হওয়া ছাড়াও আরও প্রায় ১৪০ জন আহত হয়েছেন। তারা জানান, আহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে এক কিশোরীসহ ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, প্রায় ১৫ হাজার বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনী ও সীমান্ত বেড়ার দিকে ‘পাথর, বিস্ফোরক ডিভাইস, আগুনবোমা ও গ্রেনেড’ ছুড়ে মারে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল জোনাথন কনরিকাস এক টুইট বার্তায় লিখেন, একটি গ্রুপ ‘ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত বেড়ায় বোমার বিস্ফোরণ’ ঘটায়, এর ফলে গর্ত সৃষ্টি হলে প্রায় ২০ জন ইসরায়েলের ভেতর ঢুকে পড়ে।”
তিনি বলেন, প্রায় পাঁচজনের একটি গ্রুপ একটি সেনা চৌকিতে সংঘবদ্ধ হামলা চালায় এবং নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সবাইকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিল। গত ৩০ মার্চ ফিলিস্তিনিদের এই বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তখন থেকে প্রতি শুক্রবার গাজার অধিবাসীরা এই বিক্ষোভ করে আসছেন। ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে থেকে শুরু হওয়ার পর গতকাল ছিল এই বিক্ষোভের ২৯তম শুক্রবার।’
ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এ ধারাবাহিক বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছিলেন বিক্ষোভ শুরুর দিন ৩০ মার্চ।”