লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক উচ্চতায় পানি বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে মেঘনা তীরসহ বিস্তৃত গ্রাম ও জনপথ।”
শনিবার ১৩ অক্টোবর সরেজমিনে দেখা যায়, টানা চার দিনে বৃষ্টির কারণে উপজেলার চর মার্টিন, চর কালকিনি, চর লরেন্স, সাহেবেরহাট, চর ফলকন,পাটোয়ারী হাট ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জায়গায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানির কবলে পড়া মানুষ পড়েছেন বেশ বিপাকে।”
অভিযোগ ওঠেছে, হালকা বৃষ্টিতে জোয়ারে পানি উপজেলা চর মার্টিন, চর লরেন্স, চর ফলকনসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ না থাকায় খুব সহজেই ঢুকে পড়ে। এতে পানি বন্দি হয়ে জনসাধারণের চলাচল, যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধা, শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ, চাকরিজীবিরা অফিস আদালতে যেতে পারছে না। বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট, কালবার্ট, ব্রীজ, পোলসহ পানিতে ভাসমান হয়ে পড়েছে। যাতে যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যা হচ্ছে।”
আগামী সোমবার দুর্গা ষষ্ঠী শুরু হবে।এর আগে ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে পূজা কমিটির কর্মকর্তারা বেশ চিন্তিত।
মেঘনার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ নদী নির্ভরশীল। নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তিতলির প্রভাবে মেঘনার পাড়ের মানুষগুলো খুবই বিপর্যযের মধ্যে জীবনযাপন করছে।”
ইলিশ মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলে পাড়ার জেলেসহ সাধারণের মানুষের আয়ের উৎস কমে গেছে। তারা মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে দিন মজুরি করে জীবন চালালেও এখন দিনমজুরিসহ কোন কাজই করতে পারেছে না।”
বাংলাদেশে দক্ষিণ অঞ্চলে তিতলির কোন প্রভাব না পড়লেও টানা বৃষ্টির কারণে উপকূলীয় মানুষগুলো বেশ বেকার হয়ে পড়েছে।”
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, এরকম পরিস্থিতি আরও থাকতে পারে।”