পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সেন্টমার্টিনকে তাদের নিজস্ব ভূমি হিসেবে দাবি করে প্রকাশিত মানচিত্র ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”
রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে অন্য কোন ওয়েবসাইটে কিংবা অন্য কোথাও এ ধরণের তৎপরতা রয়েছে কি না তা মনিটর করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।”
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি। বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, সেলিম উদ্দিন ও বেগম মাহজাবিন খালেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক, মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খুরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।”
কমিটি সূত্র জানায়, মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে তাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। আলোচনাকালে কমিটির সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এ বিষয়ে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এরপর তারা তাদের ওয়ের সাইট থেকে ওই মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলেছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিটির সদস্যরাও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আলোচনাকালে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমার তাদের ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিনকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে যে তথ্য প্রচার করেছিল বাংলাদেশের প্রতিবাদের পর তা ইতোমধ্যে সরিয়ে ফেলেছে। কমিটির পক্ষ থেকে অন্য কোথাও এ ধরনের তথ্য আছে কি না তা দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।”
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোন ধরণের নেতিবাচক অপপ্রচার মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক তৎপর থাকতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।”
আরো বলা হয়, সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতিতে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের অবস্থান ও বিশ্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি সম্পর্কে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন ইতিবাচক মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ যাতে এভাবে এগিয়ে যায় সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।”