পুজো তো প্রায় এসেই গেল বলুন। পুজো আমার ব্যস্ততায় কাটবে। যেহেতু পঞ্চমী বা ষষ্ঠীর পর শুটিং বন্ধ থাকবে, মানে আমরা ছুটি পাব তাই এখন জোরদার কাজ চলছে। ব্যাঙ্কিং করে রাখছি। ফলে তুমুল ব্যস্ততা এখন থেকেই।
এ বছরের পুজোটা আমার কাছে স্পেশ্যাল। কেন বলুন তো? এই প্রথম আমি একটা ফ্ল্যাট কিনলাম। আমি টালিগঞ্জে থাকি। তার পাশেই ফ্ল্যাট কিনেছি। নতুন ফ্ল্যাটে শিফট করছি। তার জন্যও ব্যস্ততা চলছে।
যেখানে নতুন ফ্ল্যাট তার পাশেই দুর্গাপুজো হয়। পুজোতে এ বার সেখানে থাকব। তা ছাড়া আমার পিসির বাড়ি পুজো হয়। সেখানেও থাকব। একদিন বাড়ির সবাইকে ডেকে গেট টুগেদারের প্ল্যান রয়েছে।
পুজোর প্রায় সব ক’টা দিনই শো থাকবে। জাজমেন্ট থাকবে। প্রায় প্রত্যেকটা শোতেই আমি রানি সেজে যাব। কারণ ‘রানি রাসমণি’ই আমার ফার্স্ট প্রায়োরিটি। এই ধারাবাহিক থেকেই আমার জনপ্রিয়তা এসেছে। দর্শক আমাকে প্রচুর ভালবাসা দিয়েছেন। তাই পুজোর দিনগুলো তাঁদের কাছাকাছি ‘রানি রাসমণি’র কস্টিউমেই যাব, শাড়ি পরে।
কিন্তু অন্য একটা চিন্তাও আছে। পুজোতে কটা জিন্স কিনেছি। স্কার্টও কিনলাম। মানে সবই ওয়েস্টার্ন ওয়্যার। আমার তো শাড়ি পরে শো করতে করতেই সময় চলে যাবে।আমার নতুন জামাগুলো কখন পরব, সেটাই বড় চিন্তা!
জানেন, আমি খুব ফুডি। কোনওদিনই ডায়েট করি না। ফলে পুজোতেও ডায়েটের প্রশ্ন নেই। মা বলেছে, পুজোয় বাড়ির রান্নাঘরে তালা পড়েযাবে। বাইরে খাওয়া হবে। আমার বন্ধুর সার্কেল এমনিতেই কম। ফ্যামিলির সঙ্গে সময় কাটাতেই পছন্দ করি। এ বার পুজোটাও সে ভাবেই কাটাব।
নির্বাহী সম্পাদক