সিলেট ::
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় হোটেলে রুটি খাওয়া নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। বৃস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া সংর্ঘষ চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। সিলেট-জকিগঞ্জ মহাসড়কের নাঈম সিএনজি পাম্পের সামনে সংর্ঘষ চলাকালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষনিক আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কদমতলী রুচি রেস্টুরেন্টে বসে রুটির অর্ডার করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড খান বাড়ির এক বাসিন্দা। তখন ঐ হোটেলের শ্রমিক রুটি দিতে বেশি সময় নেন। এ নিয়ে ঐ হোটেল শ্রমিককে মারপিট করেন খান বাড়ির ঐ বাসিন্দা। এতে বাধা প্রদান ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাকে মারপিট করেন কদমতলী ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠান পাড়ার বাসিন্দা সিপু, ফরহাদ, মেহেদি হাসান সহ আরো অনেকেই। মারপিটের পর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তার এলাকায় গিয়ে মারপিটের কথা বলেন এবং খানবাড়ি এলাকার লোকদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্র সহকারে হামলা চালান পাঠানপাড়ার লোকদের উপর। এতে করেই দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাছাড়া আর কোন ধরণের ঘটনা না ঘটতে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) এম এ ওয়াব বলেন, দক্ষিণ সুরমায় সংর্ঘষের খবর পেয়ে এসএমপি’র মোগলাবাজার ও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি পুলিশ নিয়ে গিয়ে ঘটনা শান্ত করেন। বর্তমানে পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের খানবাড়ি ও পাঠানপাড়া লোকদের মধ্যে হোটেলে রুটি খাওয়া নিয়ে সংর্ঘষের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নির্বাহী সম্পাদক