ব্যক্তি জীবনের লড়াইটা শুরু করেছিলাম সেই শৈশব থেকেই। সাংবাদিক – রাজনীতিবিদ পিতার বড় সন্তান হিসেবে খুব প্রাকৃতিক ভাবেই দায়িত্ব পালনের ভূমিকায় থাকতে হয়েছে। নিজের জীবন, বাবা – মা,ভাই – বোনদের মানুষ করার স্বপ্ন দেখতে দেখতে কখন যে আরো অনেকের জীবনের ক্যানভাসে রংতুলির আঁচর দিতে শুরু করি তার সঠিক দিনক্ষন মনে নেই, শুধু মনে আছে একমুঠো মুড়ি কিংবা শুধুমাত্র আলু সেদ্ধ খেয়েও কখনো মিছিলে যেতে, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে ক্লান্তিবোধ করিনি। আজও সকল বিলাসিতা ত্যাগ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে চলি নিরন্তর। অধিকার আদায়ের আন্দোলন, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আন্দোলন তথা নানা প্রতিকূলতা এমনকি জীবননাশের হুমকিকে তুচ্ছ করেই আজন্ম কাজ করতে চাই একটি শোষণমুক্ত – সমতার সমাজ বিনির্মাণের জন্য। যাদের জন্য কাজ করি তাদের মুখের হাসিই আমার কাজের অনুপ্রেরণা। সেই অনুপ্রেরণার স্বীকৃতি পেয়েছি এ বছর সমাজ সেবামূলক কাজে অসামান্য অবদানের জন্য সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে ” শ্রেষ্ঠ জয়িতা” নির্বাচিত হয়ে। আজ সে পুরষ্কার গ্রহণ করলাম। এ পুরষ্কার আমাকে আরো বেশি দায়বদ্ধ করলো – আরো অনেক অনেক কাজ এখনো বাকি। আমার এ স্বীকৃতিটুকু আমি উৎসর্গ করতে চাই সেইসব মানুষদেরকে যাদের জন্য আমি সমাজ সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে নির্বাচিত করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়, জেলা প্রশাসক মহোদয়,জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, বিচারকমন্ডলী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনারা আমার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন। আমি যেন আজন্ম মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি।
জয় হোক মানবতার।।
নির্বাহী সম্পাদক