দেশের নারী ফুটবলে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছে কলসিন্দুরের মেয়েরা। বলতে গেলে এক নামেই তাদের চেনে দেশবাসী।বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য সাবিনা আক্তারকে গত বছরের এ দিনে বিকাল তিনটার দিকে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে এর আগে ১ সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলো। নিজ গ্রামের বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথে মারা যায়।
সাবিনা, মারিয়া মান্দারা যার হাত ধরে ফুটবল বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন সেই কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মফিজ উদ্দিনও আজও শোকস্তব্ধ। শোকস্তব্ধ পুরো জাতি।
গত বছরের স্মৃতি মনে করে নিজ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশের মেসি খ্যাত তহুরা। এই নারী ফুটবলার লিখেছেন, দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল। কিন্তু এখনও মনে হয় না সে আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আজকে তার মৃত্যুবার্ষিকী। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। না ফেরার দেশে ভালো থাকে যেনো।
কলসিন্ধুতে ছেলেবেলা থেকেই সাবিনার সঙ্গে বড় হয়েছেন তহুরা খাতুন। স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন এক সঙ্গে। অসুস্থ হবার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। দুই দিন কেটে গেলেও জ্বর না কমায় তহুরা নিজেই জোড় করে সাবিনাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায়। সেদিন বিকেলে স্থানীয় ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন তহুরা। এসময় পথেই তহুরার কোলে মারা যান সম্ভাবনাময়ী এই ফুটবলকন্যা।
নির্বাহী সম্পাদক