নিউজ ডেস্ক: নীলফামারীর ডিমলায় গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভুয়া জন্ম নিবন্ধন কাগজ তৈরি করে বাল্য ব্বিাহের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বাল্য বিবাহের কৌশল পরিবর্তন করে ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষর জাল করে মেহেনাজ আক্তার মিশু নামে এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। সে গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী গ্রামের মজিবর রহমানের কন্যা ও গয়াবাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটি বিকাল ৪টায় প্রাইভেট যাওয়ার পর বাড়ী ফিওে আসেনি। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রীটির মা শাহানাজ পারভীন তার মেয়েকে পাশ্ববর্তী আফতানুর রহমানের বখাটে পুত্র মনোয়ার হোসেন (১৬) অপহরন করা হয়েছে মর্মে দাবী করেন।
গত কাল মঙ্গলবার রাতে গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল মুনের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন করে মেহেনাজ আক্তার মিশু সাথে মনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। গয়াবাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ফরহাদ হোসেন সরকার বলেন, মেহেনাজ আক্তার মিশু তার প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেনীর মানবিক বিভাগের ছাত্রী যার রোল- ৪২।
উক্ত প্রতিষ্টানের ছাত্রীটির জন্ম তারিখ রয়েছে ২০০৩ সালের ১৫ জুন। গয়াবাড়ী ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে ছাত্রীটির জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ২ ফেরুয়ারী যার অনলাইন নিবন্ধন-৭৩১১২২৮০১৪১৪১ হলে একটি চক্র গয়াবাড়ী ইউনিয়নের তথ্য ফরম দিয়ে একই ব্যাক্তির নামে ০৭-০১-১৮ তারিখ নিবন্ধন ১৯৯৭৩১১২২৮০১৪১৪১ জন্ম তারিখ ১৯৯৭ সালের ১ ফেরুয়ারী নিবন্ধন দেখান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও তথ্য কেন্দ্রের সিল মোহর থাকলে গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন বললে এটি ভুয়া।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা নাজমুন নাহার বলেন, গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান তার স্বাক্ষর নয় মর্মে দাবী করায় থানায় জিডি করতে বলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করলে বাল্যবিবাহের সাথে করা জড়িত বেরিয়ে আসবে।
নির্বাহী সম্পাদক