নিউজ ডেস্ক: ১ম ও ২য় শ্রেণী অর্থাৎ ৯ম গ্রেড থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরির প্রাথমিক নিযোগে সব ধরনের কৌটা বাতিলের সুপারিশ নিয়ে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরিতে নিয়োগের সুস্পষ্ট রূপরেখা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর বারটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিসেবল স্টুডেন্ট সোসাইটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দেশরত্ন,মানবতার মাতা,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে আস্তে আস্তে আমরা বেচে থাকার স্বপ্ন দেখছি।বাংলাদেশ সৃষ্টির লগ্ন থেকে প্রতিবন্ধি মানুষের অধিকার নিয়ে সকল সরকার কাজ করেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তার মধ্যে অন্যতম দাবিদার। আজ কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ ১ম শ্রেণী ও ২য় শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ নেয়ার মত সামর্থ্য বা ক্ষমতা নেই। কাজেই প্রতিবন্ধী কৌটা বলে কোন কৌটা থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে তারা মনে করেন না।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, যেখানে দেশ আজ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে চিন্তিত, প্রধানমন্ত্রীর পরিবার প্রতিবন্ধী অধিকার সম্পর্কে সোচ্চার সেখানে তথাকথিত কিছু ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছেন যে, প্রতিবন্ধী কৌটার প্রয়োজনীয়তা নেই।
তারা আরো বলেন, ভারতে সংবিধান সংশোধন করে ৩% কৌটা থেকে বাড়িয়ে ৫% এ উন্নতি করছে সেখানে আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী নামে ১ম ও ২য় শ্রেণী চাকরিতে কোন কৌটাই থাকছেনা।
গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮) তারিখে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ১ম ও ২য় শ্রেণী অর্থাৎ ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরির প্রাথমিক নিয়োগে সকল ধরনের কৌটা বাতিলের সুপারিশ করেছেন কৌটা পর্যালোচনা কমিটি।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি প্রতিবন্ধীদের আকুতি প্রধানমন্ত্রীর নিকট না পৌছায় অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য না আসে তাহলে আগামী রবিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন।
নির্বাহী সম্পাদক