সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে মিনিকেট চালের দাম কমেছে বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা। অন্য চালের দামও কমার কথা জানালেন বিক্রেতারা। নিত্যপণ্যের মধ্যে ডাল বাদে স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। এ সপ্তাহেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে, খুচরা বাজারে পাইকারির তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন। নির্বাচনের আগে নিত্যপণ্যের দরদামে তেমন একটা হেরফের হবে না বলেই মনে করছেন পাইকাররা।
চাল ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বস্তায় ৫০ টাকা কম বিশেষ করে মিনিকেট চালে। সেই সাথে অন্যগুলিও কমবে। আমরা জানতে পেরেছি, ধানের বাজার নিম্নমুখী যার কারণে প্রভাব পড়েছে।
তেমন একটা হেরফের নেই নিত্য-পণ্যের দামে। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। স্থিতিশীল সয়াবিন তেল ও মসলার বাজার। তবে, কেজিতে ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের ডালের দাম।
ডাল ব্যবসায়ীরা জানান, ডাল মোটা যেমন ৪৫-৪৬ ও চিকন হলো ৭৫-৭৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সয়াবিন ৮৩-৮৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে.
পাইকারি পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২-৩ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে গেল সপ্তাহের দামেই- ১শ’ টাকা কেজিতে। স্থিতিশীল রসুনের দাম।”
পেয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেয়াজ গত সপ্তাহ থেকে কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। বর্তমান বাজার আছে ৪২ টাকা। ভারতীয় পেয়াজ ২২-২৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে।”
বাজার অর্থনীতিতে হাত বদলে পণ্যের দাম বাড়ে-কমে, কিন্তু তা কত? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, পাইকারি পর্যায়ের ৪০ টাকা দরের রসুন, একই মার্কেটের খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। আর প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে। ডালের দামের ব্যবধান কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা।”
অন্য এক ব্যবসায়ী জানান, রসুন ৮০ টাকা, ভারতীয় পেয়াজ ৩০, দেশি পেয়াজ ৫০ টাকা, আদা ভারতীয় ১২০ টাকা,
এই খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনির দাম ৫৫ টাকা, যা পাইকারির তুলনায় ১০ টাকা বেশি।”