আগামী ৭ দিনের মধ্যে কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে। টানা ৮৩দিন বন্ধ থাকার পর বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়ায় এমন আশা করছেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলীর। কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি, শিগগিরই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে।”
বড়পুকুরিয়া খনির ভূগর্ভের ১২১০ কোল ফেইসের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ কয়লা উধাও এবং কয়লা সংকটের কারণে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গত ২২ জুলাই রাতে বন্ধ করে দেয়া হয়। টনক নড়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের। পরে ১৩১৪ নম্বর ফেইসে টানেল নির্মাণের কাজ শেষে গত ৭ অক্টোবর পরীক্ষামুলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়।
ভূগর্ভস্থ শ্রমিকরা বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই কয়লা উত্তোলন শুরু করে দিয়েছি। তা পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি পাবে। কয়লা সব তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে যাচ্ছে। বহু কষ্টের বিনিময়ে আমরা এই কয়লা উত্তোলন করতে পারছি।’
নতুন ফেইস দিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ২১ শ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন এর কথা জানালেন খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় কয়লা খনির উত্তোলন অনেক কম। এই উৎপাদিত কয়লার সব তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাবে। সাধারণ ক্রেতাগণের নিকট বিক্রয়ের সুযোগ নেই।”
আর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার জানান, খনি থেকে কয়লা সরবরাহ ঠিকমত হলে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে’
তিনি বলেন, ‘আমরা বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুকেন্দ্র পক্ষ থেকে কয়লা গ্রহণ শুরু করেছি। আমরা একটি বাফাস্টক গড়ে তুলেছি।”