অনলাইন ডেস্ক নিউজ : মানুষ কিংবা পশু-পাখির অসুখ হলে যেমন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় ঠিক তেমনি গাছের সুস্থ্যতার জন্য প্রয়োজন গাছের ডাক্তার। আর তাই রাজধানীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাছের শুশ্রুষা করেন গ্রীন সেভার্সের কর্মীরা। যাদেরকে বলা হয় গাছের ডাক্তার। এছাড়া ‘প্লান্টস ডক্টর’ নামের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে বা গাছের ছবি তুলেও সমস্যা সমাধান পাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
গাছের বেড়ে ওঠা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছেন এক ঝাঁক উদ্ভিদ বিজ্ঞানী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির ছাদ কিংবা আঙিনাকে ভরে তুলেছেন ফুলে ফলে। আর অফিস, বাসার ছাদ কিংবা উঠান-বাগানের গাছ পরিচর্যা করা এবং অসুখ সারানো এসব ডাক্তারদের কাজ।
গ্রীন সেভার্সের সদস্য আহসানুল রনি বলেন, ঢাকা শহরে মানুষের জন্য হাসপাতাল আছে কিন্তু গাছের জন্য কোনো হাসপাতাল নেই। সেই জায়গা থেকে আমরা ভ্রাম্যমাণ বৃক্ষ ক্লিনিক বা গাছের হাসপাতাল এবং বাগান সেবক বা গাছের ডাক্তার এই শব্দগুলোর সাথে আমরা নগরবাসীকে অভ্যস্ত করছি। এই শব্দগুলোর অন্তরালে আমরা যে জিনিসটা দেওয়ার চেষ্টা করছি সেটা হচ্ছে গাছকে বাঁচিয়ে রাখার একটি প্রচেষ্টা।
গাছের রঙে রঙ মিলিয়ে এই ডাক্তারদেরও রয়েছে বিশেষ পোশাক। আর সাইকেল হলো ভ্রম্যমাণ বৃক্ষ ক্লিনিক। যারা পাতা দেখে বলে দিতে পারেন কোন গাছের কি অসুখ। এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে ঢাকা শহরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বাড়িতে ছাদ বাগান । যার মাধ্যমে বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি মিলছে বিষমুক্ত সবজি ও ফল।
এলাকা ভেদে গাছের এই চিকিৎসা সেবা পেতে মাসিক খরচ হবে ৮’শ থেকে ১৫’শ টাকা। প্লান্টস ডক্টর নামের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলে কিংবা ফোন করে গাছের সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে বিনামূল্যে।
গাছের এই ডাক্তারদের মতে, হাসপাতালে একজন রোগীকে ১ ঘন্টা অক্সিজেন দিতে খরচ পড়ে ২’শ টাকা। আর প্রকৃতি থেকে আমরা যে অফুরন্ত অক্সিজেন নিচ্ছি সেটা পাচ্ছি বিনামূল্যে।
প্রকৃতির অক্সিজেন ভান্ডারে বাড়তি কিছু অক্সিজেন যুক্ত করতেই গ্রীণ সেভার্সের এমন পরিকল্পনা। আর এধরণের উদ্যোগই পারে রাজধানীকে ঢাকাকে একটি সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
সূত্র : একাত্তর টিভি