বাংলাদেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন ৩৮টি দেশে। অর্থাৎ এই দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে কোন ধরণের ভিসা লাগবে না, কেবল পাসপোর্ট থাকলেই চলবে।
বিশ্বের দুইশটি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে একটি মূল্যায়ন সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘দ্যা হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) ভ্রমণ তথ্যভাণ্ডারের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবছরের মতো এ সূচক তৈরি করেছে তারা। এতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।”
তবে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের মূল্যায়নের এ সূচকটিতে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন ঘটেছে। আগের ৯৫তম স্থান থেকে নেমে গেছে ৯৭তম স্থানে। বাংলাদেশ ছাড়াও একই সূচকে আছে লেবানন, ইরান, কসোভোর পাসপোর্ট।”
সূচক তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট জাপান ও সিঙ্গাপুরের। দেশ দুটির পাসপোর্টেই যাওয়া যায় ১৮০টি দেশে। আর সবচেয়ে দুর্বলতম পাসপোর্টের দেশ আফগানিস্তান। দেশটির পাসপোর্টে যাওয়া যায় ২৪টি দেশে।”
আফগানিস্তানের উপরেই আছে ইরাক। ভিসা ছাড়াই ২৭টি দেশে যেতে পারেন ইরাকের মানুষ। আর শেষ থেকে চার নম্বরে আছে পাকিস্তান। ভিসা ছাড়া ৩০টি দেশে যেতে পারে পাকিস্তানের জনগণ।
বাংলাদেশিরা যেসব দেশে ভিসামুক্ত সুবিধা পান:
এশিয়ার দেশ: ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পূর্ব তিমুর।
আফ্রিকার দেশ: গিনি বিসাউ, কেনিয়া, লেসোথো, মাদাগাস্কার, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গাম্বিয়া, মরিশিয়া, মোজাম্বিক, সিসিলি, সেন্ট হেলেনা, টোগো এবং উগান্ডা।
ক্যারিবীয় অঞ্চল: জামাইকা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, বাহামা, বার্বাডোজ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, সেন্ট ভিনসেন্ট, ত্রিনিদাদ এবং ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড।”
ওশেনিয়া অঞ্চল: কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিউই, সামাউ এবং ভানুয়াতু।
এছাড়া আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় যেতে ভিসামুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশিরা।”