সাগরে মিললেও, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় কাঙ্খিত ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না জেলেরা। ফলে চলতি বর্ষার শেষ সময় এসে ইলিশের আকালে হতাশ তারা। এতে গত রমজানের ঈদের মতো এই ঈদেও তাদের মাঝে নেই উৎসব কিংবা আনন্দের হাসি। আর নদীতে ইলিশের সংকট নিয়ে মৎস্যবিজ্ঞানীরা নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন। ”
চাঁদপুরে উত্তরে ষাটনল থেকে দক্ষিণে চরভৈরবী। বিশাল এই পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের জালে ধরা দিচ্ছে না কাঙ্খিত রূপালি ইলিশ। তবে সামান্য কিছু পেলেও তা খরচের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে এই জনপদের জেলেদের মাঝে এখন হতাশা ভর করেছে। সঙ্গে ঈদের আনন্দও নেই তাদের মাঝে। তবে দক্ষিণের সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। আর সেই ইলিশ চাঁদপুরের প্রধান আড়তে সরবরাহ হচ্ছে। অথচ নদীপাড়ের মাছের আড়তগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। এই নিয়ে জেলে এবং আড়তদারদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
এক জেলে বলেন, ‘আগে গুলটি জালে খেপ দিলে আগে অনেক ইলিশ মাছ আসতো। বর্তমানে ২-১ টা আসে। আমাদের জীবিকা রক্ষা করতে বহু কষ্ট হয়।”
আরেক জেলে বলেন, ‘মাছ নাই নদীতে। এবার ঈদে তেমন একটা আনন্দ হবে না। আমরা এবার ঈদ করবো, ওই পরিমাণ ক্ষমতা নেই।
এক আড়তদার বলেন, ‘সারাদিনে আমাদের আড়তে দুইটা মাছও বিক্রি করতে পারিনি।’
এদিকে, জেলেদের হতাশ না হয়ে আরেকটু অপেক্ষা জন্য বলেছেন, ইলিশ গবেষকরা।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, ‘গভীর সাগর, উপকূল অঞ্চলে যেহেতু তাদের আসা শুরু হয়েছে, মেঘনা মোহনা- এসব অঞ্চলেও চলে আসবে। এ অঞ্চলের ইলিশ জেলেদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নাই।”
ইলিশ গবেষণা ও জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল বাশার বলেন, ‘নার্সারি গ্রাউন্ডে কী পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাবে, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।”