মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বিছানাকান্দি। মেঘালয়ের পাদদেশে বিছানো পাথর আর তার ফাঁকে স্বচ্ছজলের কলকল ধ্বনি মন ছুঁয়ে যায় সবার। কিন্তু বিছানাকান্দি যাওয়ার পথের দুর্ভোগ আর মাঝিদের সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় দর্শনার্থীরা,
সিলেট থেকে বঙ্গবীর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক মোটামুটি ভালো থাকলেও বঙ্গবীর থেকেই ভোগান্তির শুরু। এখান থেকে ভাদারপাড় খেয়াঘাটে যাওয়ার ৭ কিলোমিটার পথ পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। গর্তগুলো এতটাই গভীর যে ট্রাক-বাস, সিএনজি অটো ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
এরপরে ভোগান্তি নৌকার। ভাদারপাড় ঘাট থেকে বিছানাকান্দি পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার পথের ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। এর কমে যায়না কেউ। সিন্ডিকেটের কারণে রিজার্ভ ছাড়া চলেনা নৌকাও। এসব কারণে একদিকে ভোগান্তি, অন্যদিকে বাড়ছে খরচ।
এক পর্যটক বলেন, ‘রাস্তা এত খারাপ, জার্নিতে এত কষ্ট। কিন্তু এখানে আসার পর অনেক ভালো লাগছে।”
আরেক পর্যটক অভিযোগ করেন, ‘এটা দুই-আড়াই কিলোমিটার জায়গা হবে, এখানে ৫০০ টাকা হলেই বেশি ভালো হয়।’
এক সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, ‘রাস্তা খারাপের জন্য আমরা তো ঠিকভাবে গাড়ি চালাতেই পারি না।”
পথের সীমাহীন দুর্ভোগ পেরিয়ে পর্যটকরা যখন বিছানাকান্দিতে আসেন, তখনই ভুলে যান, সকল কষ্ট। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে বয়ে চলা স্বচ্ছ্ব জলে গা ভাসিয়ে হয়ে যান আত্মহারা।
এদিকে ঈদের পর্যটকদের সুবিধার জন্য জাফলং সড়ক কিছুটা সংস্কার করেছে সড়ক বিভাগ।
গণমাধ্যমে বিছানাকান্দির কথা তুলে ধরার পর ২০১৩ সাল থেকে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। বারবার এখানে মানুষ আসতে চাইলেও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একবার আসলে আর আসতে চায়না কেউ। ”