শুদ্ধবার্তাটুয়েন্টিফোর:
সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান বলেন, দেশের সকল ক্রান্তিকালে সংস্কৃতিকর্মীরাই বাঙালী প্রকৃত চেতনা ও বিশ্বাসকে ধারণ করে দেশের কল্যানে কাজ করে গেছেন। জাতির জনক যে সপ্ন দেখতেন সেই সপ্ন বাস্তবায়নে সাংস্কৃতিক জাগরণ মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল থেকে আজ অবধি আছে। তিনি বলেন একসময় এই দেশে রাজাকার নামক শব্দ উচ্চারণ করতে মানুষ ভয় পেতো। জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশকে নেতৃত্ব ও মেধা শূণ্য করে দেয়ার পায়তারা চলছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা এতই দৃঢ় ছিলো যে, বাংলার মানুষ সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে সেই চেতনা ও বিশ্বাস বুকে লালন করে এগিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন দেশের নাট্যকর্মীরা স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে সবসময় মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে সচেষ্ট থেকেছে। তিনি দেশের বর্তমান অগ্রযাত্রাকে আরোও সামনে নিয়ে যেতে বাঙালীর অন্তরে বঙ্গবন্ধু এক চিরঞ্জীব সত্তা উল্লেখ করে তাঁর আদর্শ লালন করে নাট্যকর্মীদের নতুন নতুন ভাবনা চিন্তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
১৭ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মরণে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আলোচক ছিলেন, মদনমোহন কলেজের অধ্যক্ষ লোক গবেষক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। আলোচনায় অংশ নেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, ব্যারিস্টার মোঃ আরশ আলী, বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদের কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি মোকাদ্দেস বাবুল, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল-আজাদ, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নিরঞ্জন দে, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রিন্স সদরুজ্জামান প্রমূখ।
আয়োজনের শুরুতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নির্মমভাবে নিহত পরিবারবর্গের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা পর্ব শেষে তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে’র প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শীত হয়। অনুষ্ঠানে সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান