ডেস্ক নিউজ:
রাঙামাটিতে উজান থেকে গত দু’দিনে পাহাড়ি ঢল নামায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা দ্রুত বাড়ছে। এ কারণে ডুবে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের বুকে এই জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু। ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে এর পাটাতন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাভাবিক নিয়মে এ সময় কাপ্তাই হ্রদে ৯২ দশমিক ৫২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকার কথা। কিন্তু রবিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে পানি ছিল ১০৬ এমএসএল। কাপ্তাই বাঁধের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে হ্রদে ১৫ দশমিক ১৫ ফুট পানি বেশি রয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে ধেয়ে আসছে পাহাড়ি ঢল।
রাঙামাটি পর্যটন নৌ-যান ঘাটের ইজারাদার মো. রমজান আলী জানান, গত দুই দিনে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামার কারণে কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা দ্রুত বাড়ছে। এতে সেতুটি ডুবতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ছয় ইঞ্চি পানিতে ডুবে গেছে সেতুটি। এ কারণে সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবুও কেউ কেউ ডুবে যাওয়া পাটাতন মাড়িয়ে সেতু পার হচ্ছে। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘রবিবার দুপুরের পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যাওয়ার কারণে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে কোনও টিকিট নেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে সেতুতে চলাচল না করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’ কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ জানিয়েছেন, হ্রদের বাড়তি পানির চাপ সামলাতে ১৬টি গেট একসঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে স্পিল ওয়েগুলো দিয়ে সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে যাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে নির্মিত ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ঝুলন্ত সেতুটিই রাঙামাটির পর্যটনের ভিত্তি। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে বছরে প্রায় তিন-চার মাস এটি পানিতে তলিয়ে থাকে। দুই-তিন ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেলে সেতুর পাটাতন পানিতে ডুবে যায়। আর পাটাতনে পানি উঠলে সেতুটি চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ করে পর্যটন করপোরেশন।
বার্তা বিভাগ প্রধান