বছরের পর বছর মহাজন ও ট্যানারি মালিকদের পেছনে ঘুরেও বকেয়া টাকা পায়নি গাইবান্ধার চামড়া ব্যবসায়ীরা। এমনকি চেক দিয়ে প্রতারণার অভিযোগও আছে। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজি সঙ্কটের কারণে এবার কোরবানি ঈদে চামড়া কেনার কাঙ্খিত লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ব্যবসায়ীরা।”
উত্তরের বড় চামড়ার হাট গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার চামড়া বেচাকেনা করেন পাইকাররা। নগদ টাকায় চামড়া কেনার পর ঢাকার মহাজন ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বাকিতে হস্তান্তর করতে হয়। দিন, মাস, বছর কেটে গেলেও পাওনা টাকার জন্য অপেক্ষা শেষ হয়না। এতে লাভতো দুরের কথা পুঁজি হারিয়ে ব্যবসায়ীদের পথে বসার যোগাড়।”
অন্যদিকে এই চামড়ার হাট থেকে প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব আসলেও হাটের অবকাঠামো এবং পয়:নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় দুর-দুরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীদের।”
হাটের ইজারাদার গোলাম সারওয়ার বিপ্লব বলেন, দফায় দফায় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি।”
তবে গাইবান্ধা পলাশবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন জানালেন, হাটের উন্নয়নে শিগগিরই কাজ শুরু হবে।”
মহাজন ও ট্যানারি মালিকদের কাছে গত কয়েক বছরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও আশপাশের ব্যবসায়ীদের পাওনা কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।”