Home » মিয়ানমার থেকে আসছে কোরবানির পশু আরও ১০ হাজার আমদানির টার্গেট

মিয়ানমার থেকে আসছে কোরবানির পশু আরও ১০ হাজার আমদানির টার্গেট

ডেস্ক নিউজ:

কোরবানির ঈদ আসতে আর মাত্র পাচঁ দিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) মিয়ানমার থেকে এগারশ গরু-মহিষ নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। যেগুলো শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে রাখা হয়েছে। ঈদের আগে দেশটি থেকে আরও ১০ হাজার পশু আমদানির টার্গেট রয়েছে ব্যবসায়ীদের। , শুক্রবার সকালে মিয়ানমার থেকে সাগর পথে শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে ১০টি ট্রলারে করে ১ হাজার ১২৯টি গরু-মহিষ দ্বীপের জেটি ঘাটে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৭টি গরু এবং ৫২টি মহিষ রয়েছে। এসব গবাদিপশু আবদুল্লাহ মনির, ওমর ফারক, সোহেল রানা, মো. ইসলাম, মো. শাহীন, উলামং ও লাজুসহ ১০ জন আমদানিকারক নিয়ে এসেছেন। ব্যবাসায়ী সোহেল রানা বলেন, ‘কোরবানির মৌসুমে ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে পাচঁ হাজার গবাদি পশু আমদানি করেছি। এছাড়া কোরবানির আগে আরও এক হাজার গরু-মহিষ আমদানির টার্গেট রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় গত দুদিন পশু আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে (১৭ আগস্ট) শুক্রবার আমদানি করা ১০৫টি গরু-মহিষ ভাল দামে বিক্রি করেছি।’ তবে গত বছরের তুলানায় এ বছর ব্যবসা ভাল হয়েছে বলেও জানান তিনি। কাস্টমস সুত্র জানায়, কোরবানি আসতে আর কয়েকদিন বাকি আছে, এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে আরও ১০ হাজার গরু-মহিষ আমদানির টার্গেট রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এছাড়া শুক্রবার সকালে মিয়ানমার থেকে সাগর পথে শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে ১০টি ট্রলারে করে ১ হাজার ১২৯টি গরু-মহিষ দ্বীপের জেটি ঘাটে এসে পৌঁছে।এর আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ৪৭টি গরু-মহিষ আমদানি করা হয়। তার বিপরীতে সরকার পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার টাকা রাজস্ব পাবে। এর আগে চলতি আগস্ট মাসের ১৩ দিনে পাঁচ হাজার ৬৭৬ গবাদিপশু আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৫টি গরু এবং ১ হাজার ৪৭৯টি মহিষ। এতে সরকার ২৮ লাখ ৩৮ হাজার রাজস্ব পেয়েছে এবং জুলাই মাসে এসেছে ছয় হাজার ১০৬টি গরু-মহিষ। এবছর মৌলভী বোরহান, আবদুল্লাহ মনির, ওমর ফারুক, সোহেল রানা, উলামং মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানির শীর্ষে রয়েছেন। টেকনাফ শুল্ক স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র পাঁচ দিন। আমদানিকারকদের মিয়ানমার থেকে আরও বেশি পশু আমদানি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের কথা মতে, কোরবানির ভেতর আরও ১০ হাজার গবাদি পশু আনার কথা রয়েছে। পশু আমদানিতে রাজস্বে ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন ব্যবাসায়ীরা। দেশে পশুর চাহিদা পূরণে আমদানি অব্যাহত থাকবে।’ টেকনাফ উপজেলা পশু আমদানিকারক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ মনির জানান,‘পশু আমদানি থেকে সরকার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও ব্যবসায়ীরা কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না।’ টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে গরু ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে পথে যেন কোনও চাঁদাবাজি না হয় এবং পশু বোঝাই ট্রলারে করে যাতে কোনও মাদক ঢুকতে না পারে সেবিষয়ে নজরদারি রয়েছে।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *