সুবেহ সাদিকের মৃদু আলোর পরশ মেখে জেগে উঠে খোকা।
নবম শ্রেণির নিষ্পাপ ছেলেটির চোখ যেন জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি।
মুক্তির উন্মাদনায় এক ফোঁটা ঘুম আনতে পারেনি চোখে।
নিস্তব্ধ রাতের আঁধার মাঝে খুঁজে নিয়েছে বন্ধুর কচি মুখ।
প্রতিদিনের মতো আজ সেই পড়ার টেবিলের দিকে পা বাড়ায় নি।
শফিক স্যারের ম্যাথ হোম ওয়ার্কটাও করা হয়নি।
জীববিজ্ঞান ব্যবহারিক খাতায় পরেনি পেন্সিলের আঁচড়।
সাদা স্কুল ড্রেসটায় রক্তের স্পষ্ট দাগ।
পেন্ট বেয়ে সাদা জুতাজোড়ায় রক্তের স্তূপ।
মায়ের মলিন মুখে তাকিয়ে ইউনিফর্ম পরিহিত খোকা বলে,
মা,আমি নজরুলের “সকাল বেলার পাখি”।
আমি সুকান্তের “আটারো বছর বয়স”।
অকুতোভয় ছেলেটি বেড়িয়ে পরে রাস্তায়।
নতুন সূর্যোদয়ের স্বপ্ন চোখে আমাদের খোকা।
খোকার তর্জনির ইশারায় খুঁজে পাই “বিদ্রোহী” কবিতার প্রতিটি লাইন।
কন্ঠস্বরে ভেসে আসে বঙ্গবন্ধুর তেজদীপ্ত স্বাধীনতার ডাক।
হায়নাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সামনে প্রতীয়মান খোকা।
বুকে ঝুলানো কাঁচা হাতের লেখা পোষ্টার,
আমিই তো আগামীর বাংলাদেশ।।
আমি বাহান্ন ,আমি একাত্তর,আমিই স্বাধীনতা।
সূর্যোদয়ের কান্ডারী- মিনহাজ উদ্দিন
