হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
আগের দিনের বাংলা ছবিতে প্রায়ই দেখা যেতো, ‘অপরাধে ঘেরা একটি এলাকায় আসে সৎ একজন পুলিশ অফিসার। যিনি পুরো এলাকাকে সৎ রাখতে চায়, মানুষকে নিরাপত্তা দিতে চায়, জনগনের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করে। আপরাধীদের জন্য হয়ে উঠেন আতঙ্ক।’
হ্যাঁ, আদতেই অপরাধ প্রবণ- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে এমনই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, এসআই আবু মুসা। তিনি দু’বছর আগে বাইশারী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন। শুরু থেকেই উনি আধুনিকতা এবং দক্ষতার সাথে তাঁর মেধার মিশেল ঘটিয়ে অপরাধ কমাতে থাকে।
এসআই আবু মুসাই প্রথম কোন পুলিশ অফিসার যিনি কিনা ক্রাইমজোন বাইশারীতে এতো আধুনিকতা, টেকনোলজি, সততা এবং আবেগ দিয়ে অপরাধ দমাতে পেরেছেন। গ্রেপ্তার করেছেন অপহরণ ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত নয়জনের অধিক চিহ্নীত সন্ত্রাসীকে। কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী যিনি- তাকেও গ্রেপ্তারের জন্য এসআই আবু মুসা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। এ কারণে ইতিপূর্বে ওই শীর্ষ সন্ত্রাসী তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এই হুমকির পরোয়া না করে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন ধরপাকড় অভিযান।
এসআই আবু মুসাকে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদক দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এটি পুরো একটি অঞ্চলের সর্বমহলের কথা।
কারণ নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশারী, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও ঈদগড় এলাকার যে কোন মানুষ ওনাকে বন্ধু ভাবেন। কোন সাধারণ মানুষ গিয়ে পুলিশের সাথে গল্প করতে করতে চা খাচ্ছে এটা কি কল্পনা করতে পেরেছেন কখনো? কিন্তু এই অঞ্চলের কিছু কিছু সাধারণ জনগন প্রায়ই এসআই আবু মুসার সাথে বসে চা খান। ওনাকে সবাই বন্ধু ভাবেন। প্রত্যাশা রইলো- এসআই আবু মুসা একদিন পিপিএম পদক পেয়ে অবশ্যই পুরষ্কিত হবেন।
নির্বাহী সম্পাদক