শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর
: সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার যুদ্ধ এখন শেষ পর্যায়ে। শনিবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ১৮ দিনের ম্যারাথন এই লড়াই। সেই সাথে শুরু হচ্ছে প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী কর্মতৎপরতা।
মানে সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণভাবে নির্বাচনটি শেষ করতে বিভিন্ন নিষেজ্ঞা জারি ও তা কার্যকর করতে শনিবার মধ্যরাত থেকেই তারা নগরীতে সক্রীয় হবেন।
বাংলাদেশে যেকোন ধরণের সহিংসতার ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ব্যবহার হচ্ছে বহুকাল থেকে। আর তাই যেকোন নির্বাচনে এই দ্বি-চক্র যানটির ব্যববহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখেও তাই হচ্ছে। শনিবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাত থেকে নির্বাচনের পরদিন মানে ৩১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে প্রার্থী, আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, অনুমিতপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, নির্বাচনী এজেন্টদের এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে।
তবে পর্যবেক্ষক ও পোলিং এজেন্টদের যানবাহনে ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে বিশেষ ষ্টিকার সরবরাহ করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পর্যবেক্ষক ও পোলিং এজেন্টদের সরবরাহকৃত ষ্টিকার ব্যবহার করতেই হবে।
এসএমপি ও নির্বাচন কমিশনের নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই নির্দেশনা খুব কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের চতুর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মোট ৬ জন প্রার্থী। আর ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন মোট ১ নারীসহ মোট ১২৭ জন। আর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দি ৬২ জন।
মোট ২৬ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭শ’ ৩২ জন।
বার্তা বিভাগ প্রধান