ডেস্ক নিউজ: প্রচারণার শুরু থেকেই প্রত্যেকটি জনসভায় ভোটার আর নগরবাসীকে জানান দিচ্ছেন-মেয়র পদে এটাই হয়তো তার শেষ নির্বাচন, তিনি আর কখনো ভোট চাইতে আসবেন না। খালি হাতে তাকে ফিরিয়ে না দেয়ার আকুতি জানাচ্ছেন বারবার ।
একইভাবে সেই ঘোষণা দিয়েছেন তার নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষণার দিন। সংবাদ সম্মেলনে কান্নাভেজা কণ্ঠে তিনি বলেন-‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত হয়তো আমি বেঁচে নাও থাকতে পারি। নির্বাচিত হলে মৃত্যুর আগে ভাবতে পারব, সিলেটের মানুষ আমাকে ভালোবেসে রায় দিয়েছে।’
একজন পৌর কাউন্সিলর হিসেবে জনপ্রতিনিধিত্ব শুরু করা কামরান তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পরাজয়ের দেখা পান ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে। সেবার ‘ভোটের রাজা’ কামরান আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে যান বিশাল ব্যবধানে।
তবে জীবনের শেষ নির্বাচনে পরাজয়ের গ্লানি নিতে চান না কামরান। জয়ী হয়েই ভোটের মাঠ থেকে বিদায় নিতে চান তিনি। তাই শেষ নির্বাচনের ঘোষণা আর ভোট চাইতে গিয়ে বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন।
‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে সিলেট’ স্লোগান নিয়ে ৩৩ দফার লিখিত ইসতেহার ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি। সেই ইসতেহারে তুলে ধরেছেন সিলেটের আগামীর উন্নয়নের কথা। সেইসব উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারে কামরান তার হারানো পদ ফিরে পেলে। জীবনের শেষ নির্বাচনে তার আকুতি নগরবাসী ফিরিয়ে দেবেন না এ বিশ্বাস নিয়ে ৩০ জুলাইর পথে এগিয়ে চলেছেন কামরান।
তার জীবনের অনেকটা সময় তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন জনতার সেবক হিসেবে। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে শেষ আবদার নিয়ে আবারো দিনরাত ভোটারদের দুয়ারে ঘুরছেন তিনি। প্রাণের সিলেটবাসীর কাছ থেকে জীবনের শেষ আবদারটুকু পূরণ করেই ঘরে ফিরতে চান ‘জনতার কামরান’।