শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ১০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ‘পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের’ অভিযোগে রবিবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই ফয়েজ আহমদ এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখ করা আসামিরা হচ্ছেন- বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম এ হক, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল হক, সালেহ আহমদ খসরু, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকি, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন দিনার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাঈদ আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমদ নাদিম, এনামুল হক, কয়েছ আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুক্তা আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরিফ আহমদ, সহ সম্পদক নাইম আহমদ, আব্দুল কাদের মালেক, এমরান চৌধুরী, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনিম লস্কর, লিলু মিয়া, সায়মন আহমদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক মিল্টন, বদরুল আজাদ রানা, নজরুল ইসলাম, শেখ আল মামুন রাজু, দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সেক্রেটারি শামীম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, দক্ষিণ সুরমা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মামুন, মীর্জা মতি, মহানগর ছাত্রদল নেতা সুদিপ জ্যোতি, বিএনপি নেতা হুমায়ুন আহমদ মাসুক ও হাবিবুর রহমান।
এদের মধ্যে পুলিশ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাঈদ আহমদ ও ছাত্রদল কর্মী এনামুল হককে এ মামলায় গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর ঝালোপাড়া থেকে রাসেল আহমদ ও সুমন আহমদ নামে বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার উপশহরস্থ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এর কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফ। প্রায় দুই ঘন্টা সড়কে বসে তারা দুই কর্মীকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতাদের জানান, ওই দুজনকে ওসমানীনগর থানার একটি নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এরপর আরিফসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখান থেকে চলে যান।
ওই ঘটনায় ‘পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার’ অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।