ব্যাটিং-বোলিংয়ে দুর্দান্ত বাংলাদেশ। শুরুতেই উইকেট হারানোর পর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অসাধারণ জুটিতে ৪ উইকেটে ২৭৯ রান করেছিল তারা। তারপর বোলারদের নৈপুণ্যে, বিশেষ করে মাশরাফি মুর্তজার দুরন্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৩১ রানে বেধে দেয় বাংলাদেশ। ৪৮ রানে প্রথম ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে দারুণ শুরু হলো তাদের।”
ব্যাটিংয়ে তামিম-সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর বল হাতে দারুণ ভূমিকা রাখেন মাশরাফি। মোস্তাফিজুর রহমানের চতুর্থ ওভারে জোড়া আঘাতের পর টানা ৩ ওভারে তিনটি উইকেট নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮০ রানের লক্ষ্য দিয়ে বল শুরু করেন মাশরাফি ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সাবধানী ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। তবে নবম ওভারের চতুর্থ বলে মিড অফে লুইসকে (১৭) মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান মাশরাফি। মাত্র ৬ রানে রুবেল হোসেনের কাছে এলবিডাব্লিউ হন শাই হোপ। ৪১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের এগিয়ে নিতে থাকেন ক্রিস গেইল। অবশেষে মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেনের যোগসাজশে নন-স্ট্রাইকে থাকা এই ওপেনার রান আউট হন। মোসাদ্দেকের করা বলটি শিমরন হেটমায়ার ঠেকালে শর্ট থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহর হাতে বল যায়। ততক্ষণে ক্রিজের অর্ধেক পার হয়ে যান গেইল। হেটমায়ার তার জায়গা থেকে বের না হওয়ায় উল্টো ফিরে আসেন তিনি। তার আগেই মাহমুদউল্লাহর থ্রো থেকে বল হাতে নিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন মোসাদ্দেক।”
হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন গেইল। কিন্তু এদিন তিনি চিরচেনা রূপে ছিলেন না। ৬০ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ৪০ রান করেন ৩৮ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।”
জেসন মোহাম্মদকে স্টাম্পিংয়ে ফেরালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ উইকেট পান মিরাজ। কিন্তু তারপর হেটমায়ার ও জেসন হোল্ডার ক্রিজ আঁকড়ে দাঁড়িয়ে যান। মোস্তাফিজ ৩৬তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে এই জুটি ভেঙে দলকে জয়ের পথে ফেরান। ৫২ রান করে হেটমায়ার ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসানকে। পরের বলে রভম্যান পাওয়েলকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান বাঁহাতি পেসার। তারপর নিজের শেষ তিন ওভারে মাশরাফি ফেরান হোল্ডার (১৭), আন্দ্রে রাসেল (১৩) ও অ্যাশলে নার্সকে (৭)। ১৭২ রানে ৯ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানরা তারপরও প্রতিরোধ গড়েছিল দেবেন্দ্র বিশু ও আলজারি জোসেফের জুটিতে।”
তার আগে বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই এনামুল হককে হারিয়ে হোঁচট খায়। তবে সাকিব ও তামিমের ২০৭ রানের অসাধারণ জুটিতে লড়াই করার মতো স্কোর করে তারা। তামিম ১৩০ বলে অপরাজিত ছিলেন। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি সাকিব। ৯৭ রানে আউট হন তিনি। শেষ দিকে মুশফিকের ১১ বলে ৩০ রানের ঝড় দারুণ অবদান রাখে।”