নীলফামারীর ডিমলায় বুধবার রাতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী অবস্থান নেয়। পুলিশ প্রেমিকের বড়ভাই আব্দুল করিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ছাত্রীটিকে দীর্ঘ সময় থানায় আটকের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের হাফিজুল ইসলামের কন্যা ও গয়া খড়িবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। ছাত্রীটি প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে একই এলাকার মৃত হবিবর রহমানের পুত্র আব্দুল গনির বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেয়।
ছাত্রীটি অভিযোগ করে বলেন, গত ১বছর থেকে আব্দুল গনি প্রেমের সুত্র ধরে বিয়ের প্রতিশ্রæতিতে একাধিকবার আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করেন। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার রাতে আব্দুল গনি আমাকে বিয়ে করার কথা বলে তার বাড়ীতে নিয়ে এসে আমাকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে আপোষ মিমাংসার কথা বলে প্রেমিকের বড়ভাই আব্দুল করিম ডিমলা থানায় মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিষয়টি আপোষ-মিমাংসা না হলে ছাত্রীটির পিতা হাফিজুর রহমান নীলফামারী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছাত্রীকে বিভিন্ন কৌশলে পুলিশ থানায় আটক রাখে। ছাত্রীটির হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমার কন্যাকে অন্যায় ভাবে পুলিশ থানায় আটক কওে রেখেছে। রাতে পরিবারের লোকজনের দেখা করতে দেয়নি। এমনি বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে না পাঠিয়ে সময় ক্ষেপন করছে। সকাল থেকে মেয়েটির জন্য আদালত চত্তরে অপেক্ষা করছেন।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, আপোষ মিমাংসার কারনে মেয়েটিকে আদালতে পাঠাতে দেরি হচ্ছে। ছাত্রীটির অভিযোগ তাকে ধর্ষন করা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি বলেন অভিযুক্ত পরিবার থানায় এসে মামলা দিতে পারেন। ছাত্রীটির পিতা অভিযোগ না দেয়ার আব্দুল করিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫১ ধারায় ছাত্রীটিকে আদালতে পাঠানো হবে
নির্বাহী সম্পাদক