রাজধানী ঢাকা থেকে চারদিন আগে ‘নিখোঁজ’ স্থপতি বিএমএ মাহফুজ নবীনকে খুলনায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। বুধবার (১১ জুলাই) রাতে খালিশপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নবীনের স্ত্রী জান্নাতুল এশা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বুধবার রাত ৩টার দিকে তার স্বামীকে একটি মাইক্রোবাস থেকে খুলনার খালিশপুর এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। তখন ওর চোখ বাঁধা ছিল। পরে নিজেই চোখ খুলে বুঝতে পারে কোথায় আছে। খুলনায় ওর এক বোনের বাসা আছে। আপাতত সেখানে গেছে।’
তবে কারা মাইক্রোবাসে করে নবীনকে খুলনায় নিয়ে গেছে—গত চারদিন তিনি কোথায় ছিলেন—এসব বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি এশা।’
তিনি বলেন, ‘ও ঠিকমত হাঁটতে পারছে না। পা আর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার সঙ্গে খুব অল্প সময় কথা হয়েছে। শরীর এতোটাই খারাপ যে কথা বলতে পারছে না ঠিকমত।’
আবাসন নির্মাতা কোম্পানি শেলটেকের স্থপতি বিএমএ মাহফুজ নবীন গত রোববার সকালে কলাবাগানে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে তিনি আর ফেরেননি। এ ব্যাপারে একদিন পরে ভাষানটেক থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। সেদিনই পুলিশ নবীনের মোবাইলের সর্বশেষ অবস্থান তারা শনাক্ত করেছিলেন দারুস সালাম এলাকায়।
জিডির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান ভাষানটেক থানার এসআই রুহুল আমিন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নবীনের পরিবারের পক্ষ থেকে খুলনায় তার খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। যতটুকু জেনেছি বর্তমানে সে অসুস্থ। সময় ও সুযোগ মতো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
নবীন নিখোঁজের বিষয়ে এশা বলছেন, ‘রোববার বেলা ১১টার পর নবীন বাসা থেকে বের হন। পরে তার মোবাইল থেকে একটি এসএমএস পান তিনি। সেখানে বলা হয়, মোবাইলে চার্জ শেষ, অফিসে গিয়ে দুপুরে ফোন দেবেন।;;
এরপর রোববার বেলা ২টার পর নবীনকে ফোন করে বন্ধ পান এশা। পরে অফিসে ফোন করে জানতে পারেন, নবীন অফিসেই যাননি।
র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, ওই নামে কেউ আটক থাকার কোনো তথ্য তাদের হাতে নেই।:’
গত মঙ্গলবার এসআই রুহুল আমিন বলেছিলেন, ‘‘নবীনের মোবাইলের সর্বশেষ অবস্থান তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন দারুস সালাম এলাকায়। সেখানে তিনি কেন গিয়েছিলেন, না কি অন্য কেউ তার মোবাইল ব্যবহার করছিল—তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’
তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘নবীন বাসা থেকে বের হওয়ার পর কচুক্ষেত এলাকায় একটি ব্যাংকের বুথ থেকে তার কার্ড ব্যবহার করে ২০ হাজার টাকা তোলা হয়। নবীন নিজেই টাকা তুলেছিলেন কি না— তা জানতে বুথের সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হবে।’’
নবীনকে কেউ অপহরণ করেছে কি না, তিনি আত্মগোপন করেছেন কিনা, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো বিষয় এর পেছনে আছে কি না—সব সম্ভাবনাই তারা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন এসআই রুহুল আমিন।…….!
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.