Home » বরুমতির ভাঙনে দিশেহারা কৃষক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের

বরুমতির ভাঙনে দিশেহারা কৃষক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের

চন্দনাইশ উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বরুমতি খালের ভাঙনে তীরবর্তী কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার ধোপাছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে উত্পত্তি প্রায় ৪০-৫০ কি.মি. দৈর্ঘ্যের বরুমতি খালটি একসময় জোয়ার-ভাটা হলেও এখন নব্য হারিয়ে অধিকাংশ এলাকা পাহাড় থেকে নেমে আসা পলিমাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি বরুমতি তার বুকে ধারণ করতে না পেরে তার দুই তীর ভাসিয়ে দেয়। প্লাবিত হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। চলতি বছরে সম্প্রতি বরুমতি খালের ভাসিয়ে দেওয়া দুইবারের বন্যায় চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তাঘাট। এছাড়াও বন্যায় পাহাড়ি ঢলে বরুমতি খালের ভাঙনে ৩নং ওয়ার্ডস্থ দে পাড়ায় প্রায় ৮/৯টি বসতঘর ও ফসলি ক্ষেত খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বরুমতির ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অরুণ দে, টুন্টু দে, শিবু দে, অনিল দে, রতন দে, ঝুন্টু দে, প্রদীপ দে,স্বপন দে, দীলিপ দে এবং মোহাম্মদ আলী, আলী আহমদ বলেন, বসতঘর পেয়ারা, বেগুন, পেঁপে বাগান খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শিগগির বরুমতি খালের ভাঙন রোধ করা না হলে খালের তীরবর্তী প্রায় চার শতাধিক পরিবার, মন্দির ও শ্মশান ভূমি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে’
দে পাড়ার টুন্টু দে জানান, ২০০৯ সালে বরুমতির ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দে পাড়ায় সাত লাখ টাকা ব্যয়ে বালির বস্তা দিয়ে বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করেন। বিগত ’১৭ সালে বেড়ি বাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সংসদ সদস্যকে অবহিত করার পরও কোনো কাজ হয়নি। চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী বরুমতি খালের ভাঙনের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ শওকতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যতটুকু সম্ভব বরুমতির ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *