শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি পর্ব শেষ হয় মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকেলেই। ৫টার মধ্যেই সবার প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়। এর পরপরই সব কাউন্সিলার প্রার্থী নিজ নিজ ওয়ার্ডে শুরু করবেন প্রচারণা। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার উৎসব শেষ হবে ২৮ জুলাই রাত ১২টায়। তবে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা চলবে ৩০ জুলাই নির্বাচন চলাকালেও। সেদিন বিকালেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। জানিয়ে দেওয়া হবে নগরবাসীর রায়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ১৩ জুন। এরপর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার পর বাছাই শেষ হয় ২ জুলাই। ৯ জুলাই সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন মোট ৭ জন প্রার্থী। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলার পদে লড়ছেন ১ নারীসহ মোট ১২৭ জন। আর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৯টি আসনে লড়ছেন ৬২ জন প্রার্থী। বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় ২০নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে সিলেটের ইতিহাসে অনন্যা কীর্তি গড়েছেন আজাদুর রহমান আজাদ। আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদুর রহমান আজাদকে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় কাউন্সিলর হিসেবে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই উৎসব। জাতীয় বা স্থানীয়, যেকোন পর্যায়ের নির্বাচনই হোকনা কেন, প্রচার-প্রচারণায় মোটামুটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে আড্ডা। কর্মীরা কাজ-কর্ম শেষে সেখানে বিশ্রাম নেন। বুঝে নেন পরবর্তী করনীয়। পাড়ার ভোটাররা সেখানে বসে জমিয়ে তুলেন চায়ের আড্ডা। চলে সার্বিক পরিস্থিতির বিচার বিশ্লেষণ।
তারপর চলবে সভা-সমাবেশ গণসংযোগ। এছাড়া প্রচার-প্রচারণার এই সময়টাতে মাইকে মজার মজার কথা বলে ভোট প্রার্থনাও করা হবে। ভাবি মা খালা বা ভাইবোন সম্বোধনের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনার বিষয়টি অবশ্য শ্রোতারা ভালোই উপভোগ করেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান