ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে ৩ দফা বৈঠকে বসেছে বিএনপি। তবে সংসদ ছাড়া সংবিধান সংস্কার অসম্ভব বলছেন দলটির নেতারা। নেতারা বলছেন, এ আলোচনায় নির্বাচন পেছালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। ডিসেম্বরের বদলে জুনে ভোটের চিন্তা করলে সমর্থন দেবেন না তারা। জনগণের আস্থাও হারাবে অন্তর্বর্তী সরকার।
সংবিধান, বিচার বিভাগ, প্রশাসনসহ রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলছে ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ। বিএনপির সঙ্গে বসেছে তিন দফা। তবে এতে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কোনো পক্ষ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, সীমিত সময়ে কখনোই সংস্কার সম্ভব নয়। তাড়াহুড়ো করলে তা টেকসই তো হবেই না, উল্টো তৈরি হতে পারে আইনি জটিলতা।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কোনো সরকার একটি সীমিত সময়ের মধ্যে করে শেষ করতে পারে না। জাতীয় সংসদ ছাড়া সংবিধানের যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তা করা সম্ভব না। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জন্য আমরা হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। কিন্তু হাইকোর্ট কয়েক দফা বাতিলের কথা বললেও পরে জানিয়েছেন, সংসদে বাকিগুলো সংশোধন করতে হবে।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজই হওয়া উচিত দ্রুত নির্বাচন আয়োজন। নির্বাচিত সরকার ছাড়া পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সম্ভব নয়, সেজন্য দ্রুত ভোটের বিকল্প নেই।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন যদি জুনে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে। এই ধরনের তৎপরতা রোধ করতে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এটিকে আমরা মোটেই সমর্থন করি না। ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলে আবার যদি জুনের দিকে যাওয়া হয় তাহলে তা আমাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করা হবে।’
পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচন আদায়ে সমমনা দলগুলোর সমর্থন পেতে এরই মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।